বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর
আমার প্যান্ট রক্তে ভিজে গেছে, আমি মাটিতে পড়ে গেলাম: পংকজ দেবনাথ

আমার প্যান্ট রক্তে ভিজে গেছে, আমি মাটিতে পড়ে গেলাম: পংকজ দেবনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন সেদিনের হামলায় আহত এমপি পংকজ দেবনাথ। তখন তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পংকজ দেবনাথ বলেন, গ্রেনেডের স্প্লিন্টার আমার পায়ে ঢুকে গেছে কিন্তু আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। মানুষ চারিদিকে ছোটাছুটি করছে, তখনও বুঝতে পারিনি কী হয়েছে। পংকজ দেবনাথ বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ ছিলো। বিকেল ৫টা ২০ বা ২১ মিনিটের দিকে নেত্রী বক্তৃতা শেষ করে ট্রাকের ওপর স্থাপিত মঞ্চ থেকে নামছেন, এমন সময় ফটো সাংবাদিকরা ছবি তুলছিলো। নেত্রী দাঁড়ালেন আর গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ। আসলে গ্রেনেড হামলা বা বিস্ফোরণের শব্দ সম্পর্কে তো অভিজ্ঞতা ছিলো না। স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। কী হলো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি ছিলাম ট্রাকের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মঞ্চের পাশে, যেখানে নেত্রীর গাড়ি রাখা হয়েছিলো। আমরা গাড়ি ঘিরে রেখেছিলাম। মিছিল বের হবে, আমরা গাড়ির সঙ্গে ৩২ নম্বর পর্যন্ত যাবো এই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। একের পর এক গ্রেনেডের শব্দ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখালাম হাজার হাজার মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে দিলো। ট্রাকের ওপর মঞ্চে সিনিয়র নেতারা দেখলাম নেত্রীকে ঘিরে রেখেছেন। তারা মানবঢাল তৈরি করে নেত্রীকে রক্ষা করেছিলেন।
আমার কী হয়েছে তা বুঝতেই পারিনি। বিস্ফোরণের শব্দ থেমে গেলো। হুড়োহুড়ির মধ্যে নেত্রীকে ঘিরে দ্রুত গাড়িতে তোলা হলো। আবার হামলা হলো, বিকট শব্দ। তখন আমি বুঝলাম, বাম পায়ে শক্তি পাচ্ছি না। আমার প্যান্ট রক্তে ভিজে গেছে, আমি মাটিতে পড়ে গেলাম। পাশেই মোস্তাক আহমেদ সেন্টু, কুদ্দুছ মারা গেলো। পংকজ বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে ছিলো এই মিছিল-সমাবেশ। এই সমাবেশে হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিকে মেধাশূন্য এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়ছিলো। ওই মঞ্চে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। হাওয়া ভবন থেকে এই ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, তারেক রহমান জাড়িত ছিলো এটা মামলার বিচারের তদন্তেও উঠে এসেছে। তারা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালির বাতিঘর শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলো। ৭১, ৭৫ আর ২১ আগস্টের হত্যাকা- এক ও অভিন্ন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com