করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রায় ছয় মাস পরে এবং সংক্রমণের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও ইউরোপ জুড়ে স্কুলগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে ফ্রান্সের ছাত্রছাত্রীরা আবার শ্রেণীকক্ষে ফিরছে।
অনেক শিক্ষক এবং অভিভাবক পুনরায় স্কুল খুলে দিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা করছেন, তা সত্ত্বেও সরকারগুলো স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। ছুটির আগে দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক স্কুলে উপস্থিতির পরে দুইমাস গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে ফ্রান্সের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার শ্রেণীকক্ষে ফিরছে।
শিক্ষক এবং ১১ থেকে ১৮ বছরের সকল ছাত্রছাত্রীকে স্কুলের ক্লাসে ও বাইরে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে, বেলজিয়ামের শিক্ষার্থীরাও মঙ্গলবার স্কুলে ফিরছে, জার্মানিতে গত মাসেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরেছে। গ্রীসে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার স্কুলে ফিরবে, মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, প্রতি শ্রেণীকক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ জন শিক্ষার্থীর আসন থাকবে।
ছয়মাস বন্ধ থাকার পরে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এর স্কুল চলতি সপ্তাহে খুলেছে। ১১ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের স্কুলে, স্থানীর সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্পেন সরকার ৬ বছরের অধিক বয়সের সকল শিক্ষার্থীকে স্কুলে সর্বক্ষণ মাস্ক পড়ার এবং দিনে অন্তত পাঁচবার হাত ধোয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১.৫ মিটার (৫ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর কারণে শ্রেণীকক্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি শিক্ষকের জন্য স্থানীয় সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
স্পেনের শিক্ষক ও অভিভাবকরা মনে করেন, এই ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। মাদ্রিদের দক্ষিণের উপশহর ফুয়েনব্রাদার এক শিক্ষক প্রতিনিধি অল্প সময়ের মধ্যে বাড়তি শিক্ষকের যোগান দেয়ার স্থানীয় সরকারের অঙ্গীকারের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিটি নিসের ৫ থেকে ১৩ বছরের তিন সন্তানের মা ফ্লোরেন্স পুনরায় দু:সহ অবস্থায় ফিরে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী জাঁ মিশেল ব্লানকুয়ার সোমবার বলেছেন, সংক্রমিত হলে কোনো নির্দিষ্ট স্কুল পুনরায় বন্ধ হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে সংক্রমনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সূত্র : বাসস
Leave a Reply