পিরিয়ড নারীদের কাছে একটি পরিচিত শব্দ। এটি প্রতিমাসে নারীকে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। পিরিয়ড বা মাসিকের সময়টা প্রত্যেক নারীর জন্য বেশ কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং। প্রায় প্রত্যেক নারীকে এই সময়ে শারীরিক ও মানসিক কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা, কোমরের নিচে ব্যথা, মুড সুইং, স্তন শক্ত হয়ে আসা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ হতে পারে। আমাদের সুস্থ থাকা অনেকটাই নির্ভর করে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর। কিছু নিয়মাবলি ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মাসিক পূর্ববর্তী বা মাসিক চলাকালীন লক্ষণ কমাতে কার্যকর। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
২০১৮ সালে স্পেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চলমান একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, যারা ফলমূল বা শাকসবজি বেশি খায়, তাদের মাসিকজনিত ব্যথা প্রশমনে এগুলো সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। গাঢ় শাকসবজি, মাংস, কলিজা ও ছোলায় আয়রন ও ভিটামিন-বি পাওয়া যায়। এগুলো মাসিক চলাকালীন শরীরের যে ঘাটতি তৈরি হয়, তা পূরণে সাহায্য করে।
২০১২ সালে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়েদের ওপর হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, যারা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার বা সাপ্লিমেন্ট সেবন করেন, তাদের মাসিকজনিত ব্যথা কমাতে সেগুলো কার্যকর। টুনামাছ, স্যালমন, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়াসিড ও বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। টকজাতীয় খাবার, যেমন- লেবু, কমলা বা মাল্টা খাবারতালিকায় সংযুক্ত করতে হবে। দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম ও ঘুমের প্রয়োজন। তালিকায় পানিসমৃদ্ধ ফলমূল বা শাকসবজি, যেমন- তরমুজ, শসা ইত্যাদি রাখতে হবে। কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, আদা ও হলুদ মাসিকের লক্ষণ প্রশমনে কার্যকর।
মাসিকের সময় মুড সুইংজনিত সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়, তাই মুড ভালো রাখতে ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারতালিকায় রাখলে তা মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে। কলা ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। লাল চাল, লাল আটা এবং শাকসবজিতে ফাইবার পাওয়া যায়। অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ডুবো তেলে ভাজা বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম জাতীয় খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
Leave a Reply