শামীম আহম্মেদ, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে দশলক্ষ টাকার বিনিময় ব্যাংকে চাকরী দেয়ার নামে প্রতরনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোঃ সবুজ হাওলাদার নামে বাংলাদেশ মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ এর অফিসার পদে চাকুরী করে এবং তার চাচা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডাইরেক্টর। সবুজ নিজে ও তার চাচার মাধ্যমে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরী দিতে পারবে বলে প্রকাশ করিলে মোঃ সাইফুল নামে এক ভুক্তভোগী মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরী নিতে রাজি হয়। এবং এ ব্যাপারে সবুজ আরো বলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরী নিতে হইলে আমাকে দশলক্ষ দিতে হইবে ভুক্তভোগী সাইফুল ও সবুজ পরস্পর ঘনিষ্ঠ আত্বীয়। তাই সবুজকে বিশ্বাস করে এবং চাকরী পাওয়ার আশায় তাকে টাকা প্রদান করে টাকা পেয়ে সবুজ সাইফুলের সাথে প্রতরনা শুরুকরে
দেয়। এবং পরে সবুজের নামে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি প্রতরনা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ৫৯৮/২০২০ মামলা সূত্রে জানাযায় বাদী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আসামী সবুজ আমার আপন ছোট ভগ্নিপতি ও সাইফুল আমার বউয়ের বড়ভাই।
আসামী সুবজ আমার বোনের স্বামী বিধায় আমরা আসামীর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকরী দেওয়ার কথা বিশ্বাস করিয়া ঘটনার দিন ৩০.৮.২০১৯ ইং রোজ শুক্রবার সকাল ১১টায় স্থান পটুয়াখালী শহরের শিমুলবাগ আমার নিজ বাসভবনে বসিয়া। সমস্ত স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় আসামী সবুজ হাওলাদার কে নগদ পাঁচলক্ষ ও ১ নং স্বাক্ষী মোঃ সাইফুল এর সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের ফটোকপি প্রদান করি। পরবর্তী দ্বিতীয় ঘটনার তারিক ১.১০.১৯ রোজ মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন সময় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও তৃতীয় ঘটনার তারিক ২৮.১.১৯ অফিস চলাকালীন সময়।
২৫ হাজার টাকা আমি আসামী নামীয় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ০১০৫৭১৫০০০৩২৩৮ একাউন্টে প্রেরন করি যাহা আসামী সবুজ তুলিয়া নেয়বাকী দুইলক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা চাকুরী হইলে প্রদান করিব বলিয়া কথা হয়। তাহাতে আসামী ও প্রতারক সবুজ হাওলাদার কে ১নং সাক্ষী সাইফুলের মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরী বাবদ সাতলক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা প্রদান করি। আসামী সবুজ হাওলাদার তার কথা অনুযায়ী ১নং স্বাক্ষীর চাকরীর কোন ব্যবস্থা না করিলে আমরা আসামীর নিকট সাতলক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা ফেরত চাইলে আসামী প্রতারক সবুজ টাকা নেওয়ার কথা ও চাকরী দেওয়ার কথা অস্বিকার করে। এবং এ বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি করলে ভালো হবেনা বলিয়া হুমকি দেয়। আসামী সবুজ আমার বোনের স্বামী হওয়ায় তাহাকে অঘাত বিশ্বাস করিয়া আমার স্ত্রীর বড় ভাই ১নং স্বাক্ষী সাইফুলের মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরীর জন্য আসামীকে সাতলক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করি।
আসামী আমাদের সরল বিশ্বাসের অমর্যাদা করিয়া সাইফুলের চাকরীর ব্যবস্থা না করিয়া সাতলক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা আতœসাৎ করিয়া অপরাধ জনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারনা করে। মামলা সূত্রে আরো জানাযায় মোঃ শাহজালাল নামে আরো একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রতারক সবুজের নামে একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সি আর ৪১৩/২০ এবং আদলত প্রতারক সবুজের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্য বিধির ৭৫ ধারায় কোতওয়ালী থানা ঢাকা ও প্রতারক সবুজের কর্মস্থল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। আইডি নং ২০১২০৭২৩০৯১ নয়া বাজার শাখায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন এবং গত ২৭.০৮.২০ তারিকে ঢাকা কোতয়ালী থানা পুলিশ প্রতারক সবুজকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
Leave a Reply