দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে চিরিরবন্দর থানায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত আকরাম আলীকে (৪৫) আজ শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার স্বামী পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। তিনি নিজেও একটি নার্সারিতে কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে তারা কাজ করতে বাড়ির বাইরে যান। এই সুযোগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আকরাম আলী তার মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি তার মেয়ে লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে বলার সাহস পায়নি।
ওই ছাত্রীর মা আরও অভিযোগ করেন, গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার মেয়ে বমি করলে এবং মাথা ঘোরাচ্ছে জানালে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তিনি। ডাক্তার চেকআপ শেষে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। বিষয়টি জানার পর তিনি ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সবকিছু খুলে বলে। পরে ভুক্তভোগীর বাবাসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে অভিযুক্ত আকরাম আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে আকরাম কয়েকদিনের মধ্যেই ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন আকরাম আলী আর তাদের পাত্তা দিচ্ছেন না। বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আকরাম আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে একটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকেই আমরা আসামিকে ধরতে তৎপরতা চালাই। পরে আজ শনিবার সকালে আসামি আকরাম আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
Leave a Reply