নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাংশা গ্রামের গজালিয়া নূরানী তালিমুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে ৫৬নং দক্ষিণ পাংশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত জন-গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৪ কি.মি. কাঁচা রাস্তা রয়েছে। ৪০ বছরেও রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থী-মসজিদের মুসল্লিসহ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, কাঁচা এই রাস্তাটি বৃষ্টিপাতের কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদামাটিতে একাকার হয়ে যায়। ঘন বর্ষার সময় পানি-কাদায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এ রাস্তা। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বর্ষাকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ পাংশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পাংশা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মাধবপাশা হাইস্কুল ও কলেজ, ব্রাক শিশু কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা ও গ্রামের হাজার হাজার লোক চলাচল করে। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে,পাংশা এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হলে রোগিদের কর্দমাক্ত রাস্তাটি পাড়ি দিতে হয়। যারদরুন, অনেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে পারেন না। ৭ নং ওয়াডের্র বাসিন্দা আ: গফুর শরীফ,খলিল মৃধা,আলাউদ্দিন শরীফ জানান, ৪০বছরেও এই ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় এক ডালি মাটিও পড়েনি। বর্ষাকালে এ রাস্তায় কর্দমাক্ততার কারণে হাঁটাও দায়। তবুও কর্দমাক্ত পিচ্ছিল এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়,কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। তবে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নিজেদের টাকা খরচ করে রাস্তাটির কিছু কিছু স্থানে ইটের খোয়া ও সুরকি বিছিয়ে কাদাপানি কমানোর চেষ্টা করেছেন । স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন শরীফ এ প্রতিবেদককে জানান,নির্বাচন এলেই জন প্রতিনিধিরা এ রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নেতা আসে নেতা যায়; কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলেই প্রতিবছরই এ রাস্তা দিয়ে চলাচলায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাদাঁমাটি পেরিয়েই এ রাস্তা পাড়ি দিয়ে যেতে হয় তাদের। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ হয় যে, এই দুই-তিন মাস স্কুল-কলেজে পড়–য়া ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র। ফলে এ এলাকার চাষীরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাত নিয়েও পড়েন বিপাকে। এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মাধবপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,জয়নাল আহমেদ জানান, একাদিকবার ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে রাস্তটি ষ্টিমেট করানো হয়েছে। টাকা পয়সা খরচ করতে পারিনি বলে টেন্ডারে আসছে না। এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলাম’র কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুন কুমার নাথ বলেন,আমি নতুন এসেছি তাই ওই রাস্তাটি সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না।
Leave a Reply