নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাধীন সদর উপজেলার শহরতলী চরমোনাই ইউনিয়নের রাজধর গ্রামের ভূইয়া বাড়ির শহজাহান ভূইয়ার ভাড়াটিয়া নগরীর আদালতপাড়ার দলিল লেখক মোঃ রেজাউল করিম রিয়াজকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করার সন্দেহ জনক আসামী রিয়াজের (স্ত্রী) আমিনা খাতুন লিজার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম দফাদারকে ১৬ মাস অতিক্রম করার পরও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তার সন্ধান ও গ্রেফতার করার সফলতা দেখাতে ব্যর্থ হয়ে খুনের সময় খোয়া যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপ্রেক্টর সগির হোসেন বরিশাল জেলার বাখেরগঞ্জের উপজেলার প্রাদ্রিপুর এলাকার মৃত ইউসুফ আলী সিকাদারের ছেলে মোঃ জলিল সিকদার (২৮),বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার বুখাইনগর গ্রামের মোঃ পিন্টু চৌকিদারের ছেলে(মোঃ রায়হান (২০) ও সদর উপজেলার কাউয়ার চর কুন্দিয়ালপাড়া এলাকার চুন্নু হাওলাদারের ছেলে(মোঃ সাকিল হাওলাদার (২০) তিন ছিচকে চোর ও মাদকাশক্ত দাবীদারকে গ্রেফতার করে রিয়াজ হত্যার আসল আসামী বানিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি নিয়ে হত্যা মামলাটি (জজ মিয়ার নাটক সাজিয়ে) রিয়াজ হত্যা মামলার প্রকৃত ও সন্দেহজনক আসামীদের রক্ষা করার মিশনে নেমেছে মামলার মনিটরিং অফিসার ডিবি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম বলে অভিযোগ করেন বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন।
মামলার অনুসন্ধানকালে ও মামলার বিভিন্ন তথ্য উপাতথ্য ও বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা সহ খুনের দোষ স্বীকার করা ুতন ছিচকে মোবাইল চোর জবান বন্ধিতে বলেছে তা একজনের কথার সাথে আরেক জনের কথার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জবানবন্ধিতে দা দিয়ে সিদ কাটার কথা বলা হয়। কিন্তু সেখান থেকে প্রবেশ করে ঘড়ে ঢোকা এমনি খুনের পর কিভাবে ঘড় থেকে বেড় হয়ে গেছে তাবলা হয়নি। শুধু একজনে বলেছে কোপ দিয়ে দৌড়ে বেড় হয়ে যায়। অপরদিকে তিনজনই তিন রকম বক্তব্য প্রদান করায় এই রিয়াজ হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে আরো বেশি রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া এলাকার স্থানীয়রা জলিল,রায়হান ও শাকিলের দেয়া জবানবন্ধি দেয়ার কথা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দা দিয়ে অতবড় ঘড়ের সিঁদ কাটা যায় না। তারপরেও ধরে নিলাম সিদ কাটা ওরা প্রবেশ করেছে তাহলেতো হাতের ছাফ ও সহ কনুইদিয়ে ঢুকলে তার চিহ্ন থেকে যাবে সেখানে হত্যার পর পুলিশ কয়েকদফা তদন্ত করে ওই সিদের ভিতর মাকড়সার জাল দেখতে পেয়েছে তাতো থাকার কথা নয়।
এমনকি ওই সিদ দিয়ে ঘড়ে প্রবেশ করতে হলে লিজার চোকির নিছে হামাগুড়ি দিয়ে প্রবেশ করে তারাপর দাঁড়াতে হবে। তারপরে রিয়াজের বারান্দায় গিয়ে খুন করতে হয়েছে এসময় পর্যন্ত স্ত্রী লিজা কোন আলাপ পাইনি। তাছাড়া একটি মানুষের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হলে তিনি একবার গোতরানী দিবেই কোপের সাথে সাথেই কোন মানুষ মরে যায় না।
অথচ সেসময় পর্যন্ত স্ত্রী লিজা আলাপ পাইনি। আলাপ ঠিকই পেয়েছে কাজের কাজ সম্পূর্ণ করে তারপরে নিজে ঘড়ের দড়জা খুলে ডাক চিৎকার দিয়ে বাড়ির অন্য সকল সদস্যদের সজাগ করেছে। উক্ত এলাকার মানুষের একটাই প্রশ্ন খুনিরা ঘড়ের দড়জা জানালা সবই অক্ষত থাকার পরও ওরা কোন পথ দিয়ে ঘড় থেকে চলে গেছে এর রহস্য ও এখনো যারা গ্রেফতার হয়নি তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এবিষয়ে বর্তমান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপ্রেক্টর সগির হোসেন বলেন, আমরা মোবাইল ট্রারাকিংয়ের মাধ্যমে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে ওরা আদালতে নিজেদের দোষ স্বিকাÍ করে জবানবন্ধি দিয়েছে। তাছাড়া এখনো মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে এখনই সব কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি আরো বলেন আমরা বলি না। লিজা নির্দোশ। তিনি এউতিবেদককে বলেন, হত্যারীরা ঘড়ের পিছন থেকে বেড় হয়ে গেছে। এদিকে আটক তিন সদস্য সদস্য বলেন সামনে দিয়ে বেড় হয়েছে। কেহ বলে দৌড়ে বেড় হয়েছে আসলে কোনটি সত্য এনিয়ে ব্যাপক রহস্যে সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে এ মামলার মনিটরিং করা ডিবি অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তিনজনেকে আটক করে আদালতে হস্তান্তর করেছি। ওরা আদালতে কি বলেছে ওটা ওদের ব্যাপার। এখানেইতো শেষ না। এখন পর্যন্ত তদন্তের কাজ হয়নি। আমরা ন্যায় বিচারের স্বার্থে তথ্য-উপাতথ্য দেখেই তদন্তের কাজ শেষ করতে চাই। তাছাড়া মামলার বাদী কি বলেছে কিবলবে এটা তার নিজস্ব ব্যাপার।
এব্যাপারে দলিল লেখক রিয়াজ হত্যা মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, মামলার মনিটরিং কর্মকর্তা আমার মামাকে ডিবি অফিসে ডেকে এনে মামলা তুলে নিতে বলে। এমনকি এখন পর্যন্ত আমার ভাই হত্যা মামলা সন্দেহভাজন আসামী লিজা ও তার আগের ঘড়ের সন্তানের ভোরন পোষনের টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
সে একজন পুলিশের কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামী কি খেল না খেল তা কি তদন্তকারীর মনিটরিং অফিসারের দেখার বিষয়। এখানে তার কিস্বার্থ থাকতে পারে। তাছাড়া আজ প্রায় দেড় বছরের মত হয়ে গেল এখন পর্যন্ত মাসুম দফাদার ও হাবীবুর রহমান হাবুকে আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাই এখন আমাদের ভাই হত্যা মামলাটি জজ মিয়া নাটকের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ডিবি পুলিশ। অন্যদিকে প্রকৃত খুনি ও খুনের সাথে জড়িত সহায়তাকারীদের রক্ষা করার মিশনে নেমে ডিবির উজ্জল ভাবমূর্তি কলংকিত করছেন মনিটরিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম। আমরা বরিশালের পুলিশ কমিশনারের ব্যাক্তিগত তদারকির মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করার দাবী জানাই।
Leave a Reply