যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সম্প্রতি চুক্তি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। চুক্তিটি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের বিপক্ষে যাচ্ছে নাকি পক্ষে যাচ্ছে এই ইস্যুতে আরব দেশগুলো দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো খোদ ফিলিস্তিনই এখন সুর নরম করেছে। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিকে শান্তিচুক্তি হিসেবে বর্ণনা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিন সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো নিন্দা বা আক্রমণ করেনি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিটি সম্পর্কে ফিলিস্তিন আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শান্তিচুক্তি নিয়ে সমালোচনা থেকে সরে এসে সুর নরম করছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও মঙ্গলবার আরব আমিরাতের শাসকগোষ্ঠীসহ অন্যান্য আরব নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক বিবৃতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরায়েল এবং আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার কথা জানান।
এ দিকে এই চুক্তি নিয়ে গতকাল লিগের নেতারা বৈঠকে বসেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকের ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আরব দেশগুলো দুইভাগে বিভক্ত হবে। যদিও ইতোমধ্যে বাহরাইন ও ওমান এ চুক্তিকে সমর্থন করেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের নিরাপত্তা গবেষণাবিষয়ক সহকারী অধ্যাপক আন্দ্রেস কিং বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুটি ঐতিহ্যগতভাবেই আরব লিগকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে। তবে চলতি বছর সেই ইস্যুটাই বিভাজনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দিকে আঞ্চলিক পরাশক্তি সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের স্বার্থরক্ষা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলে ঘোষণা দিলেও আমিরাতের সিদ্ধান্তের কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। তবে আরেক আঞ্চলিক শক্তি ইরান বরাবরই এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।
Leave a Reply