শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করায় তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আজ বুধবার এ খবর প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছেন নরওয়ের রাজনীতিবিদ ক্রিশ্চান টাইব্রিং-জিজেদে। তিনি বলেন, ‘তার যোগ্যতার জন্য, আমি মনে করি তিনি শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। অন্যান্য মনোনীত প্রার্থীদের চেয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বেশি চেষ্টা করেছেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসেই কয়েক দশকের সংঘাত শেষ করে ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিস্থাপনে রাজি হয় আরব আমিরাত। দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্ভব হয় বলে জানা গিয়েছিল।
চুক্তি মোতাবেক, ইসরায়েলকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকা অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা বাতিল করবে ইসরায়েল।
এই চুক্তির মধ্য দিয়ে কয়েক দশকের সংঘাতের ইতি টেনে মিশর ও জর্ডানের পর আরব দুনিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফলে এবার থেকে তেল আবিবের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন মেনে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে আবু ধাবি।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে হানাহানি রুখতে যারা অবদান রাখেন তাদের পুরস্কৃত করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রবর্তন করা হযেছিল। শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেওয়াই এই পুরস্কার প্রদানের আসল উদ্দেশ্য। ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও জাতিগত সংঘাত নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তার। গত বছর ১১ অক্টোবর রাজধানী অসলো থেকে নরওয়ের নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল জয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করেছিল।
২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য ৩১৮ জন প্রার্থী ছিলেন।
Leave a Reply