বেতাগী প্রতিবেদক ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। মহামারী করোনার কারণে এবার দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান হতে চলছে। প্রতিবছরের মতো এবার পূজার সেই পুরোনো সংস্কৃতি অনেকটা লুকিয়ে থাকবে অগোচরে। বাইরে ঘুরতে যাওয়া, পূজার মন্ডপগুলোতে নানা ধরণের আয়োজন থাকছে না। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সবক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশ। সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার মহালয়া হবে ১৭ সেপ্টেম্বর , বাংলা মাসের ৩১ ভাদ্র । এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’ মানে অশুভ মাস। সে কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসেকে এবার দেবী দুর্গা ‘মত্যে আসবেন মহালয়ার ৩৫ দিন পরে। এ কারণে ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। পরদিন ২৩ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুর হবে দুর্গাপূজার মূল আচার অনুষ্ঠান। ২৪ অক্টোবর মহা অষ্টমী এবং ২৫ অক্টোবর মহানবমী পূজা। ২৬ অক্টোবর মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এই দিন প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে কীভাবে হবে দুর্গাপূজা সে অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন । প্রতিমা শিল্পীরা দিন রাত কাজ করছেন। মাটির তৈরি প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন। কেউ কেউ মাটিকে সুন্দর ,মসৃন ও দৃর্ষ্টিনন্দন করার জন্য তুলির আচঁড় দিচ্ছেন। প্রতিমা তৈরির কারিগর গনেশ পাল বলেন,‘ প্রতিবছর এ সময় ১০-১২ টি পূজামন্ডপে কাজ করে থাকি এ বছর মাত্র ৭টি পূজামন্ডপের কাজ করছি।’ উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরা বলেন, এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের আর্থিক অনেক ক্ষতি হয়েছে যা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। বেতাগী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন,‘ করোণা ভাইরাসের কারণে এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হবে। এ সর্ম্পকিত ২৬ টি নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকেই এ নিদের্শনা মেনে পূজা করতে হবে।
Leave a Reply