নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী-এমপি বলেছেন, নদীর গতি প্রকৃতি বারবার পরিবর্তন হচ্ছে। একদিন আগে যা দেখে যাচ্ছি তা একদিন পরেই পরিবর্তন হচ্ছে। এটা শুধু আমিই দেখছি না, আমাদের মন্ত্রনালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন প্রতিনিয়ত এসব পর্যবেক্ষণ করছেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোনো কিছুই নজরদারীর বাহিরে নয়। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিকে নারায়নগঞ্জ-চাঁদপুর-হিজলা-উলানিয়া নৌপথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি আরো বলেন, আমার চেষ্টা করছি নৌ পথের মানুষগুলোর যাতায়াত সাশ্রয়ই ও নিরাপদ রাখতে। এজন্যই আমরা বাববার নদী পর্যবেক্ষন ও পরিদর্শন করছি। আজকে আমরা ড্রেজিং করছি, কালকে আবার ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের উপর নির্ভর করে না, এটা নদীর গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ আমরা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করবো। এর লক্ষ্যে দেশের ৫৩ টি নদী নতুনভাবে খনন করা হচ্ছে। আর যে নৌ পথ গুলো আছে সেগুলো নদী মেইনটেইন্সেন ড্রেজিং করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে, আবার বড় বড় নদীর ওপরে সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জায়গায় পলি পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে বিভিন্ন নদী পথ পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে মানে এই নয় যে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, নৌ সংরক্ষন ও পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম, বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ন পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার, বরিশাল নৌ সংরক্ষন ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ন পরিচালক এসএম আজগর আলীসহ বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply