কৃষ্ণ কান্ত দাশ, স্বরূপকাঠী ॥ স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর মোঃ জিয়া উদ্দিন মালেক রেকর্ডীয় সরকারি খাল দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে চরম বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গত দুই টার্মের সফল কাউন্সিলর আজ চরম বিতর্কিত সাধারণ ভোটার সহ ওয়ার্ডবাসীর কাছে। স্থানীয় ওয়ার্ডবাসীরা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা সকলেই খাল উদ্ধারের পক্ষে। পাশাপাশি জনপ্রিয় সফল মেয়র ও উন্নয়নের রূপকার জি এম কবিরও সরকারি খাল দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইতিমধ্যে। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর জনপ্রিয় ও সুশিক্ষিত মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম বাবু বরাবরই ন্যায়ের পক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু সরকারি খাল উদ্বারের পক্ষেই নয় বরং ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যে চলতি সময়ে ওয়ার্ডের সকল ওয়ার্ডবাসীদের সাথে আছেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। এ ব্যাপারে ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দারা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা অবাক হয়েছি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মালেক কিভাবে এহেনও অপরাধ করতে পারে। সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর মালেকের বিতর্কিত কর্মকা-ে সকলেই হতভম্ব। নাম না প্রকাশের শর্তে বহু ওয়ার্ডবাসীরা জানান, আসলে ধর্মের লেবাসে থেকে এহেনও ভাবে সরকারি খাল দখলের প্রতিযোগিতায় না নামাটাই উচিত ছিলো। তবে বর্তমান মেয়র গত তিন মাস আগে সাবেক কাউন্সিলর সহ ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য খাল ভরাট না করার জন্য নির্দেশ প্রধান করেন। সাবেক কাউন্সিলের বড় ভাই গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলে আমার ভাই সাবেক কাউন্সিলর ৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন আরামকাঠীর আদম আলীর কাছে। আদম আলী টাকার গরমে বেআইনী ভাবে খাল দখলের প্রতিযোগিতায় নামেন। প্রাথমিক ভাবে আদম আলী অপরাধী বলে জানান।
এদিকে ওয়ার্ডের মধ্যে সুশীল সমাজের লোকজন জানান, ভরাট কৃত খালটি রেকর্ডের আওতায়। এস এ, ও বি এস, পরছায় সরকারি তথ্য মতে ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন জায়গায় ১০ ফিট সহ ১২ ফিট কিংবা ১৫ ফিটও রয়েছে। তবে দত্ত বাড়ীর সীমানা সংলগ্ন রাস্তার পাশে ২১ ফিট দেখানো হয়েছে বি এস খতিয়ানে। তবে সর্ব মহলের প্রানের দাবী সরকরী খাল ভরাট বন্ধ হোক চিরতরে।শুধু ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যেই নয় বরং সমগ্র পৌরসভার মধ্যে সরকারি খাল খননের মাধ্যমে উদ্ধার করা হোক। মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম বাবুর সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। স্থানীয় কাউন্সিলের সাহসী উচ্চারনে ওয়ার্ড বাসীরা দারুণ খুশি। এদিকে মেয়রের সাথে মুঠো ফোনে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের । মেয়র জানান, আমি বরাবরই ন্যায়ের পক্ষে। আর খাল দখলের প্রশ্নই আসে না। আমি স্থানীয় কাউন্সিলর কে অনুরোধ করেছি আজকের মধ্যে কাগজ পত্র মোতাবেক মাপঝোঁক দিয়ে সঠিক নিয়মে খাল উদ্ধার করা হোক। তাছাড়া গত তিন মাস আগে খাল ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেই। তবে মেয়রের পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে কথা হয় খাল উদ্ধারের ব্যাপারে। বাবুর সাহসী উচ্চারন সহ সময় উপযোগী পদক্ষেপ উপস্থিত সকলকেই মুগ্ধ করে। তবে সাবেক কাউন্সিল জিয়া উদ্দিন মালেকের সাথেও কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। সাবেক কাউন্সিলর মালেক নিজ থেকেই অনুতপ্ত। যদিও খাল ভরাটের খল নায়ক আদম আলীর নাম না বললেও শেষ সময়ে অভিযোগের তীর সাবেক কাউন্সিলরের ঘাড়েই পড়ে। কোন রকম দায়ভার এডিয় যেতে পারে না সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন মালেক। যদিও গণ মাধ্যম কর্মীদের করা কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান। সর্বশেষ তথ্য মতে মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক শনিবার সকাল ১০ সময়ে স্থানীয় কাউন্সিল, সাবেক কাউন্সিলর সহ সচেতন মহলের বহু লোকজন কাগজ পত্র নিয়ে বসেন। এলাকার অভিজ্ঞ আমিন মোঃ হুমায়ুনের নেতৃত্বে বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে খাল উদ্ধারের প্রাথমিক কাজ শুরু করেন বলে এলাকার সকলেই জানান।
Leave a Reply