নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, বিট পুলিশিং হলো একটি নির্ভেজাল সেবা। থানা হলো মূল সেবাকেন্দ্র। আমরা থানাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকায় ভাগ করে অফিসার নিয়োগ করেছি। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্তরা স্থানীয়দের কাছের মানুষ হয়ে, ঘরের পুলিশ হয়ে কাজ করবে। জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা শুনে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখবে। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালি মডেল থানা আয়োজিত ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পুলিশ কমিশনার বলেন- জনগণ পুলিশ এক হয়ে কাজ করে দুষ্ট দমনে সোচ্চার হতে হবে। আমরা সকলেই আন্তরিক, সেক্ষেত্রে ২/১ ব্যতিক্রম থাকলে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন- অনেকেই মুখে বলছেন মাদক ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু সমাজ বলছে তারা অপরিবর্তিত। তাদের উদ্দেশ করে বলতে চাই, মুখোশ পরে, ঢাল ব্যবহার করে শুধু মুখে ভালো হয়েছি বললেই হবে না, ভেতর থেকে ভালো হতে হবে। ভালোদের অবশ্যই আমরা সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবো। নতুবা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএমপি পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন- সভায় শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে হয়তো আমাকে প্রধান অতিথি বলা হয়, তবে আমি নিজেকে কোন অতিথি হিসেবে নয়, জনগণের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল থানায় সেবার মান কেমন তা সরাসরি সবার সম্মুখে শুনতে এসেছি। এবং কিভাবে আরও আন্তরিক হয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে পরিপূর্ণ সেবা পৌঁছে দেয়া যায় তা জানতে চাই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোকতার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাসেল, স্টাফ অফিসার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল হালিম, সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক দক্ষিণ বিএমপি মো. মাসুদ রানা, সহকারী পুলিশ কমিশনার নগর গোয়েন্দা নরেশ কর্মকার এবং কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।’
Leave a Reply