নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকায় চলাচলের অযোগ্য সড়কগুলোকে সংস্কার না করা হলে হরতালের ডাক দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। এজন্য সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে একমাসের সময় বেধে দিয়েছে দলটি। অন্যথায় নগরীর সড়ক ও ড্রেন সংস্কার এবং খাল পুনরুদ্ধারে বাধ্য করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন এসব দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসা বাসদ নেতারা। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন দলটির বরিশাল জেলা শাখার আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন ও সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সমালোচনা করে ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘উন্নয়নে বরিশালে বহুগুণে পিছিয়ে। তারপরও আধুনিকতার ধুয়া তুলে অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, ভবনের প্ল্যানের নামে সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি এঁটেছেন মেয়র।’ ‘সুবিধা বঞ্চিত নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার পথ তৈরি করা না হলে সাধারণ মানুষের তোপের মুখ থেকে পালিয়েও বাঁচতে পারবেন না মেয়র। কোনো সন্ত্রাসী বা গু-া বাহিনীই তাকে রক্ষা করতে পারবেন না।’
ডা. মনীষার দাবি, ‘নগরবাসীর গলায় দঁড়ি বেধে উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ আদায়ের পরও নাগরিকদের ঠিকমতো খাবার পানি সরবরাহ করতে পারছে না করপোরেশন।গত দুই বছরে বরিশালকে যে সিঙ্গাপুর করা হয়েছে, সেই সড়কে শিশুরা সাঁতার কাটে। সাধারণ মানুষ ধানের বীজ বপণ আর মাছচাষিরা তেলাপিয়া চাষ করতে পারে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া সেই সিঙ্গাপুর নামের বরিশাল নগরীতে সামান্য বৃষ্টি হলে কীর্তনখোলায় পরিণত হয়।’ জেলা আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দুলাল মল্লিক, শহিদুল ইসলাম, মহসিন মীর, মেজবা, নরুল হক নুরু, মিজানুর রহমান, প্রতিভা রায়, সানু বেগম প্রমুখ।
নগরীর উন্নয়ন করার পাশাপাশি পুনর্বাসন ছাড়া রিকশাচালক ও হকারদের উচ্ছেদ না করা এবং লাইসেন্স নবায়নে বকেয়া ফি মওকুফের দাবি জানান বক্তারা। নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ড থেকে খ- খ- মিছিল নিয়ে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শেষে বাসদের প্রতিনিধিরা বিসিসি কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন। গত ০৯ সেপ্টেম্বর সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে বাসদ, যা সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
Leave a Reply