শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি জামিনে এসে পেলেন ফুলের মালা

শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি জামিনে এসে পেলেন ফুলের মালা

শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত মতিউর রহমান (মুক্ত মিয়া) উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসলে তাকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করা হয়। শুধু তাই নায়, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে করা হয়েছে শোডাউন। বাদ যায়নি মিষ্টি বিতরণও।

এসব আনন্দ উল্লাস করেছে অভিযুক্ত ও তার পক্ষের লোকজন। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর গ্রামে। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মুক্ত মিয়ার ফুলের মালা পরিহিত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই শিশুর বাবা নেই। আর্থিক অস্বচ্চলতার কারণে সে ৩/৪ বছর ধরে মামার বাড়ি উপজেলার হীরাপুরে থাকে। সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ওই ছাত্রীকে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখি ১৫ জুলাই সকালে একটি পরিত্যক্ত ঘরের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন পাশের বাড়ির বৃদ্ধা মতিউর রহমান ওরফে মুক্ত মিয়া (৮০)। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। তখন অভিযুক্ত বৃদ্ধ মুক্ত মিয়া পালিয়ে যায়।

বিষয়টি এলাকা সর্দ্দার মাতাব্বরদের জানান ওই ছাত্রী মামা। মীমাংসা করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন সাহেব সর্দারগণ। দীর্ঘ দিন ধরে কোনো বিচার না পেয়ে গত ১৭ আগস্ট ওই ছাত্রীর মা মতিউর রহমানকে (মুক্ত মিয়া) আসামি করে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলায় ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মতিউর রহমান (মুক্ত মিয়া)। জামিন নিয়ে এসে সোমবার বিকেলে এলাকায় পৌঁছলে তাকে ফুলের মালা পরিয়ে ও ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয় তার পক্ষের লোকজন। পরে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল ও কয়েকটি প্রাইভেটকার নিয়ে ফুলের মালা গলায় পরিয়ে এলাকায় শোডাউন ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তার ছেলেরা বলেছেন, আমার বাবা ওমরা হজ করে দেশে এসেছেন।

হিরাপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘মুক্ত মিয়া যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানাই। এত নিকৃষ্ট ঘটনা আমরা আগে কখনো শুনিনি। এটার বিচার না হলে দেশে আইন বলে কিছু থাকবে না। মেয়েটি এতিম মামার বাড়িতে থাকে। তার মামাও কৃষিকাজ করে।’

একই গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বী আবুল খায়ের বলেন, ‘গত সোমবার মুক্ত মিয়া জামিন পেয়ে এলাকায় আসে। তার ছেলে অ্যাডভোকেট তাকে কয়েকটা প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন দিয়ে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত দেয়। আমারা কেউ মিষ্টি খেতে যায়নি।’

হিরাপুর গ্রামের বাসিন্দার আব্বাস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘মুক্ত মিয়া আমার আপন মামা হন। উনি যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তার সত্যতা পেয়েছি। চেষ্টা করেছি পরিবারের লোকজন নিয়ে মেয়ের পক্ষের সাথে সমাধান করার জন্য। শুনেছি মামা উচ্চা আদালত থেকে জামিনে এসেছে। এসেই গলায় ফুলের মালা পড়ে এলাকায় শোডাউন ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। এটা ভালো হয়নি। আমি তার নিন্দা জানাই।’

ওই নির্যাতিত শিশুর মা বলেন, ‘আসামি জামিন পেয়ে খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেছে। আসামি ফুলের মালা পড়ে আমাদের বাড়ির পাশে মিছিল করে মহড়া দিচ্ছেন। ওরা প্রভাবশালী। আমাদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা আতঙ্কে আছি।’

তবে মতিউর রহমান (মুক্ত মিয়া) ছেলে অ্যাডভোকেট মিলন বলেন, ‘আমার বাবাকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর জন্য মামলা দিয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্ট আমার বাবার বয়স বিবেচনা করে জামিন দিয়েছেন।’

অভিযুক্ত মতিউর রহমান (মুক্ত মিয়া) বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলি তাই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।‘

এই বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী বলেন, ‘মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com