হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ জানাজা ও দাফনের জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে আজ শনিবার ভোর চারটার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা ছেড়ে যায়।
শনিবার জোহরের নামাজের পর দুপুর ২টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। শুক্রবার রাত ৯টায় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে ঢাকায় আনা হয়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অনুসারীদের কাছে তিনি ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গুরুতর হয়ে পড়লে আল্লামা শফীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে আনা হয় ঢাকায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতায় ভুগছিলেন।
আহমদ শফীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায়। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (জিরি মাদ্রাসা) লেখাপড়া করেন। ১৯৪০ সালে তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় যান, সেখানে চার বছর লেখাপড়া করেন।
১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আল্লামা শফী। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন। টানা দুদিন ধরে চলা বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় আহমদ শফী মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার ছেলে আনাস মাদানিকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
Leave a Reply