নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুল আজিজ (৪০) নামে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২ জনে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া কেদারপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে আজিজের দেহের ৪৭ শতাংশ পুড়েছিল। তার শ্বাসনালীও পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল।
ইনস্টিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর পাঁচটায় আব্দুল আজিজ মারা যান। অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় আরও চারজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
হাসপাতালে এখন রয়েছেন-ময়মনসিংহের ত্রিশালের আব্দুর রহমানের ছেলে ফরিদ (৫৫), পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কেনান (২৪), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউখানপুর ব্যাংক কলোনির আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (১৮) এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসিরহাট গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে আমজাদ (৩৭)।
ফরিদের দেহের ৫০ শতাংশ পুড়েছে, আমজাদের পুড়েছে ২৫ শতাংশ। শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে কেনানের, রিফাতের পুড়েছে ২২ শতাংশ। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিস্ফোরণের সময় আজিজ মসজিদের সামনেই তার লন্ড্রির দোকানে কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণে দোকানের গ্লাস ভেঙে আগুনের হালকা আভা এসে ঢোকে তার দোকানে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। তিতাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস মসজিদের বদ্ধ ঘরে জমে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে একে একে ৩২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। শুধু একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
Leave a Reply