কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি জমা সংক্রান্ত শালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে পাঁচ জন। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গরাৎখাঁ গ্রামের মোল্লা বাড়িতে। এ সময় সালিশ বৈঠকে আসা উত্তেজিত আসা লোকজন ভাংচুর করে চেয়ার, টেবিল। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নাসির উদ্দিন শিমুল (৩৮)। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শনিবার সকালে ঢাকায় প্রেরন করা হয়। বাকী দুইজন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গরাৎখাঁ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজাহার মোল্লা বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। উভয় পক্ষের বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সালিশ বৈঠকে আসা উত্তেজিত লোকজন ভাংচুর করে চেয়ার, টেবিল। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে আহত অবস্থায় নাসির উদ্দিন শিমুল,আব্দুল মালেক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রিয়াজকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত নাসির উদ্দিন শিমুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়। আহত শিমুলের বড় ভাই এ্যাডভোকেট মো. বশির উদ্দিন জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা উভয় পক্ষ আমাদের বাড়ির সামনের মাঠে সালিশ বৈঠকে বসি। এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় বর্তমান ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, দুলাল মোল্লা, রিয়াজ মোল্লা, জলিল মোল্লা সহ বেশ কয়েজন লোকজন আর্তকিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে রিয়াজ মোল্লা আমার ভাইয়ের মাথায় মোটা ধরনের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বর্তমানে আমার ভাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া দুলাল মোল্লার ছেলে সোয়েব হুমকি ধামকিও দিচ্ছে। বর্তমানে আমাদের পরিবার আতংকিত রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন উল্টো আভিযোগ করে বলেন, শালিশ বৈঠক চলাকানীন পরিকল্পিত ভাবে শিমুল মোল্লা, কামরুল মোল্লা, খলিল মোল্লাসহ বেশ কয়েকজনে হামলা চালায়। এ সময় শালিসদার হারুন মাতুব্বর সহ গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। হারুন মাতুব্বর জানান, কোন কিছু বোঝার আগেই হামলার ঘটনা ঘটে। আমি থামানোর জন্য চেষ্টা করেছে। ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়্যারমান রিয়াজ তালুকদার এ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply