সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বিচারক দিয়েছেন যাবজ্জীবন, নথিতে লেখা হয়েছে ৭ বছর

বিচারক দিয়েছেন যাবজ্জীবন, নথিতে লেখা হয়েছে ৭ বছর

ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও সাত বছর কারাদণ্ড দেখিয়ে জাল নথি দাখিল করায় ঝিনাইদহ কারাগারের দুই রক্ষীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হযেছে তারা হলেন- ঝিনাইদহ কারাগারের রক্ষী কনস্টেবল বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল খায়রুল আলম, তদবিরকারক চাঁন্দ আলী বিশ্বাস (পিতা মৃত বজলু বিশ্বাস, গ্রাম উত্তরপাড়া, ঝিনাইদহ) এবং ওকালতনামা দেওয়া কাদের আলী (পিতা ইয়াকুব আলী)। একইসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমানকে মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মামলার তদন্তে যদি অন্য কারো সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায় তবে তাকেও আসামি করা যাবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে জাল নথির ভিত্তিতে দেওয়া গত ১৬ সেপ্টেম্বরের আদেশ প্রত্যাহার করেছেন।

মামলার এক আসামি কবির বিশ্বাসের করা আপিল ও জামিন আবেদনের সঙ্গে ওই রায়ের অনুলিপিতে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় এ আদেশ দেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিপক্ষে আইনজীবী শেখ আতিয়ার রহমান আদালতে লিখিত আবেদন দিয়ে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

জানা যায়, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে কবির বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায় ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর মামলা করেন বেলায়েত হোসেন। এ মামলার বিচার শেষে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালের ৮ জুলাই রায় দেন। রায়ে একমাত্র আসামি কবির বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এ মামলায় একাধিকবার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন কবির বিশ্বাস। সর্বশেষ হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ও ৩০ মে তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন। এ অবস্থায় কারাবন্দী কবির বিশ্বাসের পক্ষে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নতুন করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল করেন। এই আপিলের সঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়ের যে কপি দাখিল করা হয় তাতে দেখা যায়, ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ আবু আহসান হাবীব ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর এক রায়ে কবির বিশ্বাসকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং আরো তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায়ে বলা হয়েছে, কবির বিশ্বাসের বয়স ৬৫ বছর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বয়স বিবেচনায় তাকে সাজা কমিয়ে ৭ বছর দেওয়া হলো। এই আপিলের পর আদালত গত ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল গ্রহণ করেন। তবে আসামির সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণের পরও কেন সাজা কম দেওয়া হয়েছে তার লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বিচারক আবু আহসান হাবীবকে নির্দেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী সাংবাদিকদের জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদেশের সময় আদালতের প্রশ্ন ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অভিযোগ প্রমানের পর আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা না দিয়ে সাজা কম দেয়ার সুযোগ আছে কি না। জবাবে বলেছিলাম, সে সুযোগ নেই। আইনে অভিযোগ প্রমানিত হলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা দিতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে খালাস দিতে হবে। এর বাইরে কিছু করার নেই বিচারকের।

পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ওই মামলার সব নথি জোগাড় করে জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ অবস্থায় আদালত আজ সব নথি দেখে আদেশ দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com