নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, আমরা সৎভাবে স্বাধীন ভাবে জনগনের সেবা করতে চাই। আমরা সম্মানের সাথে থাকতে চাই। কাউকে অহেতুক হয়রানি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ জনগনের বন্ধু। সমাজে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে হলে জনগনের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কোন কিছুর বিনিময়ে প্রলুব্ধ হয়ে কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না। সোমবার(২১সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন (উত্তর) বিভাগের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, যেই জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন দেয়া হয়,সেই জনগনের প্রতি ন্যায় বিচার করে তাদের আস্থাভাজন হতে হবে।আমরা জনগনকে সাথে নিয়ে সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধ মূলক কার্যকলাপ দূর করতে চাই। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে,এক্ষেত্রে কোন নিরাপধাধ ব্যাক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। সততার সাথে কাজ করলে জনগন সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেনা।সমাজে কোন ঘটনাকে আমরা বড় বা ছোট করবোনা। মামলার চার্জশীট দেয়ার ক্ষেত্রে সংঘঠিত ঘটনার সঠিক চিত্র তুলে ধরতে হবে। উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর)মোঃ খাইরুল আলম বলেন, বিটপুলিশিং কার্যক্রমকে আরও জোরদার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পুলিশি সেবা পৌছে দিতে হবে। আমরা জনগনের রক্ষক হতে চাই,ভক্ষক হতে চাইনা। জনগনের সেবার মান বৃদ্ধির কথা শুধু মুখে বললেই হবেনা,বাস্তবে সত্যিকারার্থে জনগনের সেবা দিয়ে প্রমান করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের যুব সমাজকে বাচাতে হবে। সমাজের সকল প্রকার অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারার্থে জনগনের জনবান্ধব পুলিশ হতে পারবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান, কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার মোঃ মাসুদ রানা, কাউনিয়া থানার অফিসার ইসচার্জ মোঃ আজিমুল করিম, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম, এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সাল, পুলিশ পরিদর্শক(অপারেশন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ লোকমান হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছগির হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply