রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
স্বাস্থ্য-রসে ওরা কোটিপতি

স্বাস্থ্য-রসে ওরা কোটিপতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব দেশের স্বাস্থ্য খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ। তবে যাদের জন্য এই সংস্থা- সেই নাগরিকদের চিকিৎসাব্যবস্থা বা স্বাস্থ্যের হাল যেমনই হোক না কেন, অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেরই ‘দুর্নীতির’ স্বাস্থ্য বেশ নাদুসনুদুস। স্বাস্থ্যের রস-মধু চুষে খেয়ে একেকজন রাতারাতি শূন্য থেকে কোটিপতি হয়ে গেছেন। করোনা ভাইরাস মহামারীর এ সময়ে স্বাস্থ্য খাতের যে বেহাল চিত্র ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠে আসছে এ খাতের অনেকের ভয়াবহ দুর্নীতির সব তথ্য।

গত বছরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন দিয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করেছিল। তবে দুর্নীতির উড়ন্ত পালে এতদিন আড়াল হয়ে ছিল সেগুলো। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ৪৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও চিহ্নিত করে দুদক। এ ছাড়া মাস্ক ও পিপিই কেনায় দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ১৫ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন। সব মিলিয়ে নজরদারিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের ৬০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী।

একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হওয়া স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম টানতে এবার জোরেশোরেই মাঠে নেমেছে দুদক। একাধিক টিম মাঠে নেমে স্বাস্থ্য খাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে একের পর এক সীমাহীন দুর্নীতির তথ্য পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার আবদুল মালেকের মতো আরও অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে বাড়ি-গাড়ি ও বিপুল বিত্তের মালিক বনে যাওয়ার তথ্য পাচ্ছেন দুদকের গোয়েন্দারা। নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, ঘুষ-দুর্নীতি, নিয়ম ভেঙে ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানোসহ নানা অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তারা। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ৪৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ২১ জন এবং তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ ৪৩ জনের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক। বাকিদেরও হিসাব বিবরণী তলবের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গত বছর দুদক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১টি খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম খুঁজে পায়। এর মধ্যে বেশি দুর্নীতি হয় কেনাকাটা, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং ওষুধ সরবরাহ খাতে। ‘সাদা চোখে দেখা’ দুর্নীতির বাইরে একটি অভিনব দুর্নীতির কথাও তখন জানিয়েছি দুদক। সেটি হলো, অর্থ আত্মসাতের জন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা। এমন যন্ত্রপাতি কেনা হয়, যা পরিচালনার জনবল নেই। এগুলো কখনই ব্যবহার করা হয় না। দুদক তখন এই দুর্নীতি প্রতিরোধে ২৫ দফা সুপারিশ করে বলে, দুর্নীতির কারণেই স্বাস্থ্য খাতের করুণ অবস্থা।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান। দুদকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক দল পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদটি তৈরি করে। দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান তখন সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রতিবেদনের আলোকে মন্ত্রণালয় যদি ব্যবস্থা নেয় তা হলে দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে।

আর জাহিদ মালেক বলেছিলেন, প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি উল্লেখ করা হয়েছে। তাই প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এক বছরেও। গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর শুরু হয় স্বাস্থ্য খাতে নানা ধরনের কেনাকাটা। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আরও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনায় মানুষ যখন প্রাণের ভয়ে তটস্থ তখনও স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র একে একে উঠে আসতে থাকে। এর পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের চিহ্নিত করতে গত বছর মাঠে নামে দুদকের গোয়েন্দা শাখা। দুদকের একজন পরিচালকের নেতৃত্বাধীন একটি টিম দীর্ঘ অনুসন্ধানে ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা তৈরি করে কমিশনে দাখিল করে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে মাস্ক ও পিপিই ক্রয়ে দুর্নীতির দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও সিএমএসডির কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ৭ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজিকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের সুযোগ দেওয়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ (হাসপাতাল) বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

সবমিলিয়ে দুদকের জালে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ৬০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। যাদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদকালে যাদের নাম আসবে তাদেরও নজরদারিতে এনে অনুসন্ধান করা হবে বলে দুদকের কর্মকর্তারা জানান।

দুদকের প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অফিস সহকারীসহ ২৮ ‘কোটিপতি’র তথ্য তুলে ধরা হয়। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) গাড়িচালক আবদুল মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী সৈয়দ জালাল, জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, জাকির হোসেন, ক্যাশিয়ার আতিকুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির আহমেদ চৌধুরী, অফিস সহকারী ইকবাল হোসেন, এইডস শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, স্টোনোগ্রাফার শাহজাহান ফকির, এমআইএস শাখার প্রোগ্রামার রুহুল আমিন, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর ট্রেনিং অ্যান্ড ফিল্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর হেলথ এডুকেটর জাকির হোসেন।

এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইপিআই ভবনের অফিস সহকারী তোফায়েল আহমেদ, কমিউনিটি ক্লিনিক শাখার উচ্চমান সহকারী আনোয়ার হোসেন, নিকেতনের ফাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হেল কাফী, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সচিব আনোয়ার হোসেন, জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদুজ্জামান, স্টোর কর্মকর্তা দোলোয়ার হোসেন।

খুলনার শেখ আবু নাসের হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী আশিক নেওয়াজ, ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জালাল মোল্লাহ, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার নাজিম উদ্দিন, বিভাগীয় পরিচালক (রাজশাহী) অফিসের প্রধান সহকারী হেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার সাফায়াত হোসেন ফয়েজ, বিভাগীয় পরিচালক (খুলনা) অফিসের স্টোনোগ্রাফার ফরিদ উদ্দিন ও প্রধান সহকারী মাহাকাব হোসেন এবং বিভাগীয় পরিচালক (ঢাকা) অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিপক কান্তি।

প্রতিবেদনে গাড়িচালক আবদুল মালেক সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী ইউনিয়নের স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে ২০১০ সালে ৫০০ জনের নিয়োগ বাণিজ্য করে উত্তরার কামারপাড়ায় দুটি সাততলা বাড়িসহ নামে-বেনামে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী জাকির হোসেন সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি গাড়িচালক মালেকের সহযোগিতায় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়ে সারাদেশে প্রতিনিধি বানিয়ে প্রভাব বিস্তার করে অর্থ কামাচ্ছেন। তিনি সাভারে আলিশান বাড়ি করেছেন।

ঢাকার নিকেতনে ফাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হেল কাফী মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ কোটি টাকার কাজ করেছেন। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দুটি প্লট ও ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন। তিনি ভারতেও বাড়ি কিনেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী ইকবাল হোসেন মহাপরিচালকের একান্ত ভাজন হওয়ায় বিলবোর্ড সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়াই বিলবোর্ড বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদুজ্জামান ক্ষমতাশালী কর্মচারী। তিনি বাসা বরাদ্দ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ সব ধরনের কাজ করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন। তার সম্পদের হিসাব তিনি নিজেই জানেন না। একই প্রতিষ্ঠানের স্টোর কর্মকর্তা দোলোয়ার হোসেন স্টোরের মালামাল বুঝে না নিয়ে ঠিকাদারদের বিল প্রদানের কাগজপত্র প্রস্তুত করার কাজ করতেন। গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার নাজিম উদ্দিন সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ঠিকাদার মিঠু ও আফতাব উদ্দিন সিন্ডিকেটের সঙ্গে সমানতালে কাজ করেন। তার গাজীপুরে অনেক ফ্ল্যাট-প্লটসহ ১০টি গাড়ি রয়েছে।

জানতে চাইলে দুদকের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখত বলেন, দুদক ২০১৯ সালে একটি টিম গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের চিহ্নিত করতে। দুদকের টিম অনুসন্ধান করে ৪৫ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করে। এ তালিকার যারা আছেন তাদের অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ ৪৩ জনের হিসাববিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে এই ৪৫ জনের বাইরেও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাস্ক ও পিপিই ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে।

এ ছাড়া যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে যদি এর সঙ্গে জড়িত আরও কারো নাম উঠে আসে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের নজরদারিতে রাখছি। ভবিষ্যতে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। আমরা গোয়েন্দা শাখা করেছি। এই শাখাকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com