নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ম্যুরাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে নগরীর সদর রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে মুর্যালের উদ্বোধন করা হবে। ওইদিন বিকালে রং-বেরঙের পাথর দিয়ে নির্মিত ৫০ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন মুর্যালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের উপহার স্বরূপ দেশের সর্বোবৃহৎ এ মুর্যালটি নির্মাণ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ‘বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুদানের টাকায় ম্যুরালটি নির্মিত হয়েছে। আর এটি নির্মাণের প্রধান উদ্যোক্তা সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এরই মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ম্যুরালটির উচ্চতা ৫০ ফুট এবং চওড়া ৪০ ফুট। দৃষ্টিনন্দন এই ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ম্যুরালের পেছন রয়েছে সবুজ ও লালের মিশ্রণে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরালটি। এর নকশা তৈরি করেছেন ঢাকার চারুকলার একটি দল। আর ম্যুরাল চিত্রটির রূপ দিয়েছেন চারুকলার শিল্পী রুদ্র। সরেজমিনে দেখাগেছে, ‘উদ্বোধনের আগেই ম্যুরালটিকে নিয়ে বরিশালবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরাও এটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন নগরীর শহীদ মিনার এলাকায়। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে থেকে সম্মান প্রদর্শন করছেন।
এদিকে ম্যুরালটিকে ঘিরে প্রশংসিতও হচ্ছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহও। মুজিব অন্তঃপ্রেমীরা বলছেন, ‘নবনির্মিত এ ম্যুরালটি ইতিহাস-ঐতিহ্যের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বরিশাল শহরকে জাগিয়ে তুলেছে। ম্যুরালটির চিত্র রূপকার চারুকলার শিল্পী রুদ্র বলেন, ‘বিদেশি উন্নতমানের টাইলসের বিভিন্ন রঙের টুকরা দিয়ে এটি চিত্রায়িত করা হয়েছে। চারজন সহযোগীকে নিয়ে দীর্ঘ ৪৫ দিন রাত পরিশ্রম করে এর নির্মাণকাজ করছি। এখন আরো ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে। এটি হবে বঙ্গববন্ধুর সবচেয়ে বড় ম্যুরাল। এরআগে এত বড় ম্যুরাল অন্য কোথাও নির্মাণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ম্যুরালটি করা হয়েছে রঙিন। আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন। এই ম্যুরালের মধ্যে তাঁকে আরো প্রাণবন্ত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের সন্তানরা ম্যুরালটি দেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হবে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে ম্যুরালের পাদদেশে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হবেন। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আমরা এই ম্যুরালের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য সব সময় আন্তরিক।
Leave a Reply