আরিফুল ইসলাম ॥ মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত রয়েছে বরিশাল মেট্টো ও রেঞ্জে। ইতি মধ্যে বরিশাল নগর পুলিশের খাচায় বেশ কিছু মাদক ব্যাবসায়ি ও মাদক সেবনকারীরা ধরা পড়েছে। এবং তাদের নামে একাধিক মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল সাংবাদিকদের ডিবি এসি ও বিএমপির মূখপাত্র মোঃ নাছির মলিলক জানান, নগরী মাদক মুক্ত করতে ইতি মধ্যে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ২৬৭ জন মাদক বিক্রেতার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যতোদ্রুত সম্ভব তাদের আটক করা হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বরিশাল নগর পুলিশ প্রায় শ’খানেক মামলা দায়ের করেছে শুধূ মাত্র মাদকের উপরে। যাতে করে নগরবাসি বর্তমানে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। তবে আইনশৃক্ষলার অভিযানের মুখে পরে কেহ আটক, কেহবা ইতি মধ্যে আদালতে আতœসমর্পন করেছে, আবার কেহবা এলাকা ছেড়ে যে যেভাবে পারে পালিয়ে রয়েছে। তবে তাদেরকে ও আটকের জন্য জোড়ালোভাবে কাজ করছে গোটা আইনশৃক্ষলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে নগর পুলিশের গোয়েস্তা একটি সংবাদের তথ্য মতে, সদর উপজেলা কাশিপুর ইউনিয়ন সহ পুরো বাবুগঞ্জ চাদপাশা এলাকার মাদক সম্রাট খাজা সোহেলের একান্ত সহযোগী জামাল রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। যদিও প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামী খাজা সোহেল বর্তমানে পুলিশের খাচায় রয়েছে। তাই তার ব্যবসার সব কিছুর ভার বর্তমানে ওই জামালের কাছে। লাকুটিয়া বকশির চর এলাকায় বাড়ী হলেও জামাল পুরো বাবুগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট থানার একাংশ মিলে মাদকের হাটবাজার বসিয়ে রাখে। এই জামারের ভাই কামাল হাওলাআর বর্তমানে র্যাবের অস্্র মামলায় বর্তমানে হাজতবাস করছে। এর পরেও থেকে নেই জামাল হাওলাদার। তিনি তার বর্তমানব্যবসা চালানো জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রশাসন ও পত্রিকা অফিসের দারস্ত হচ্ছে। অপর দিকে দৈনিক দখিনের খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে পুরোপুরি এলাকা ছাড়া হয়েছে, সদর উপজেলা তালতলী লামছড়ি এলাকার সজল খান ও ল্যাবটপ বাবু। তবে নিজ এলাকায় এখনো অবস্থান করছে সিরাজ প্যাদা। সে বর্তমানে আইনর্শক্ষলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাছের ব্রবসার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে সিরাজ ও স্থানীয় আরো কয়েক জন রয়েছে প্রশাসনের নজরে। তথ্য মতে, যে কোন সময় আটক হতে পারে চরবাড়িয়ার মাদকের ওই সম্রাটরা সহ কাশিপুরের জামাল। তথ্য মতে নগর পুলিশের যে ২৬৭ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে বেলতলা চরআবদানি , পলাশপুরের বেশ কয়েক জনের নামও রয়েছে। যা প্রকাশ করবে দৈনিক দখিনের খবর পত্রিকা। সারা দেশে যখন অস্রবাজ, ডাকাত, শীর্ষ সন্ত্রসীদের প্রশাসন আটক করে আইনের আওতায় আনছিলো। সেই সেই সময় বেশ রমরজা মাদকের বাজার বসিয়ে ব্যবসা শুরু করে এই নগরীর কিছু পাতি সন্ত্রসী রুপে মাদক ব্যবসায়িরা। হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গোটা আইনশৃক্ষনরা বাহিনী মাদক ব্যবসায়িদের নিমূলের জন্য মাঠে নামলে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মাদক ব্যবসায়ি নিহত হয়। সেই ঘটনায় বরিমালের মাদক ব্যবসায়িরা সাময়িক সময়ের জন্য গা ঢাকা দিয়েছে। তাই তাদেরকে আটকের জন্য ইতি মধ্যে মোবাইল ট্রাাকিং শুরু করেছে প্রশাসন। অন্যদিকে কাশিপুরের জামাল হাওলাদারের বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, সে শুধূ মাদক ব্যবসার সাথেই জড়িত নয় তার রয়েছে নানান নারী কেলেংকারির ঘটনা। রয়েছে খাজা সোহেলের সাথে ও তার একার নামে একাধিক মাদক মামলা।
Leave a Reply