আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ বলেছেন, আর্মেনিয়ার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। তাদের আগ্রাসনের জবাবে আজারবাইজানের সেনারা পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ৬টি গ্রাম মুক্ত করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ককেশাস অঞ্চলের দুটি দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে রোববার থেকে আবারো মারাত্মক সামরিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আজারবাইজানকে আর্মেনিয়া অভিযুক্ত করেছে যে, তারা কারাবাখ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, আজারবাইজান অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া সমর্থিত সন্ত্রাসীরা আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
কারাবাখ হচ্ছে আজারবাইজানের একটি এলাকা। ১৯৯২ সালে আর্মেনিয়া সমর্থিত গেরিলারা সেটি দখল করে নেয়। তার আগে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে জাতিগত আজারবাইজানি নাগরিকরা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ঘোষণা করেছেন যে, ওই এলাকায় আর্মেনিয়া সামরিক শাসন জারি করেছে এবং সেখানে সামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে। ফ্রন্টলাইনে ব্যাপক সংঘর্ষের পর দুই পক্ষই বেসামরিক লোকজন হতাহতের দাবি করেছে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আজারবাইজানি বাহিনীর তিনটি ট্যাংক, দুটি হেলিকপ্টার এবং তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমাদের জবাব হবে যথাযথ মাত্রার এবং সংঘর্ষের দায়-দায়িত্ব আজারবাইজানের বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের নিতে হবে।”
এদিকে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী ব্যবহার করব।”
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে আজারবাইজান। ফ্রন্টলাইনে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর অবস্থান ভালো বলে দাবি করেছে বাকু।
এদিকে, সংঘর্ষ থামাতে দু দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও তুরস্ক। পার্সটুডে
Leave a Reply