এ কথা বলা যায়- আমাদের দেশেও হৃদরোগ ক্রমে মহামারী আকার ধারণ করেছে। হৃদরোগ এখন আতঙ্কের নাম। নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনই পারে হৃদরোগ থেকে বাঁচাতে। হৃদরোগ থেকে বাঁচতে যা করবেন তা হলো-
খাবার : তেল-চর্বিযুক্ত খাবার নয়, আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন শাকসবজি ও ফলমূল। একইভাবে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকেও দূরে থাকুন। খাবারে বাড়তি লবণ তো নয়ই। তরকারিতে যে লবণ মিশে থাকে, তাতেই তৃপ্ত থাকার অভ্যাস করুন।
নেশা : ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন। মদ্যপানও।
কায়িক শ্রম : স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে অনেকেই নিয়মিত হাঁটেন। কিন্তু হাঁটাটা নিয়মমাফিক হচ্ছে তো? দ্রুত হাঁটুন। শরীরের ঘাম ঝরলেই বুঝবেন, সঠিক নিয়মে হাঁটছেন। আর ঘাম ঝরা মানেই শরীর থেকে কিছু লবণও বেরিয়ে যাচ্ছে। কায়িক শ্রমও ঘাম ঝরাতে পারে।
ওজন কমাতে হবে : শরীরের বাড়তি ওজন কমান। বাড়তি ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
রোগ নিয়ন্ত্রণ : শরীরের বাড়তি ওজনের মতো ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক রোগ কিংবা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ হৃদরোগকে উসকে দেয়। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। মেডিটেশনেও মনোযোগ দিতে পারেন। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ করবেন।
পারিবারিক ইতিহাস : উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগের পারিবারিক ইতিহাস (বাবা-মা, ভাইবোনের) থাকলে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, রক্তে চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করাবেন।
শিশুর দিকেও নজর দিন : শিশুর গলাব্যথা বা বাতজ্বর হলে চিকিৎসকের কাছে নিন। এসব সমস্যা অবহেলা করতে নেই।
বিশ্রাম ও বিনোদন : প্রতিদিন পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করুন। রাত জেগে কাজকর্ম পরিহার করুন। পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত সময় দিন। তাতে আপনার মানসিক প্রশান্তি বজায় থাকবে। মনে রাখবেন, মানসিক অশান্তি হৃদরোগের বন্ধু। হৃদরোগ যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তাই অবহেলা করবেন না। সচেতন থাকতেই হবে আপনাকে। হৃদয় ভালো রাখুন, ভালো থাকুন।
Leave a Reply