মাহবুব উল আলম হানিফ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও। কেন্দ্রের তলবে গত বুধবার সিলেট থেকে ঢাকায় যান জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা। তাদের পৃথক বৈঠক হয় মাহবুবুল আলম হানিফের সঙ্গে। সিলেটের নেতাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে হানিফের তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে চলছে গুঞ্জন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তাব করে। এর পর সিলেটে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। প্রস্তাবিত কমিটি দুটির বিপক্ষে পাল্টা কমিটি জমা দেন সন্তোষজনক পদ না পাওয়া নেতারা। কমিটি নিয়ে সিলেটের রাজনীতির মাঠ যখন পুরোপুরি আলোচনায় মুখর, তখনই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা অভিযুক্ত থাকায় ঢাকা পড়ে যায় কমিটির আলোচনা। গত বুধবার রাজধানীতে বৈঠক হওয়া নেতাদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার পৃথক বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। একটি সূত্রে জানা যায়, আলোচনায় ওঠে আসে প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে বিতর্কের বিষয়। একই সঙ্গে সিলেটের ধর্ষণকা-ের বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সূত্র জানায়, কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে পাল্টাপাল্টি কমিটি জমার বিষয়টিও তিনি জেনেছেন। সূত্র দাবি করেছে, গ্রুপিং রাজনীতির শেল্টার দাতাদের ব্যাপার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদ, কমিটিতে অভিযুক্ত কারা এবং রদবদল করা হবে কি-না এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নিজে নেবেন। দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তে আগে কমিটি প্রকাশের কোনো সম্ভাবনাই নেই।
গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে বৈঠক করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। পরে বৈঠক করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
এ ব্যাপারে নাসির উদ্দিন খান বলেন, এমসি কলেজের ধর্ষণকা-, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কমিটির তালিকা জমা দিয়েছি, বাকিটা এখন দলীয় হাইকমান্ডের হাতে। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কমিটি অনুমোদন দেবেন, তখনই জানা যাবে কারা স্থান পাচ্ছেন কমিটিতে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি দলের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়- এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবিত কমিটিতে কাউকেই বাদ দিইনি। অনেকে প্রত্যাশীত পদ পাননি, আবার অনেকে ভালো স্থানে নিজ যোগ্যতায় স্থান পেয়েছেন- এসব বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন করা হলে আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছি- এর বাইরে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
Leave a Reply