মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলা জেলায় চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ৬৩ হাজার মে:টন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের মা ও জাটকা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে এখানে প্রতিবছরই ইলিশের উৎপাদনের পরিমান বাড়ছে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ১০ হাজার মে:টন ইলিশ বেশি পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে এবছরও টার্গেটের চাইতে অধিক ইলিশ পাওয়া যাবে । ইতোমধ্যে স্থানীয় নদ-নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এ ছাড়া ইলিশের প্রজনন নির্বিঘে করার জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বলেন, সরকার ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধিতে মা ও জাটকা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম, নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এক সময়ে ইলিশ সুরক্ষায় মানুষের সচেতনতার অভাব থাকলেও বর্তমানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে সবাই সচেতন। যার ফলে আমরা কয়েক বছর যাবত বাজারে বেশ বড় বড় ইলিশ (এক কেজির উপরে) দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ইলিশ বড় করতে হলে কিন্তু বেশ সময় দিতে হয়। মাছটাকে ডিম ছাড়ার পর চলে যাওয়ার সময় দিতে হয়। এক প্রজনন মৌসুমে কিন্তু ইলিশ বেশি বড় হয়না। তাই তাতে বোঝা যাচ্ছে নিষিদ্ধকালীন সময়ে এর শিকার কম হচ্ছে। জেলেরা আইন মানছে। যেটা খুবই ভালো ব্যাপার। এদিকে মৌসুমের শেষের দিকে এসে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় নদ-নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। জেলে পাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে অনেকগুণ। মাছ ঘাট, বাজার ও মোকামগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষা-কষীতে মুখরিত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। ৬থশ/৭থশ গ্রামের ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এক কেজির উপরের ইলিশের মূল্য বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন। অবশ্য বিক্রেতারা বলছেন, ছোট বা মাঝারী ইলিশের তুলনায় বড় ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় দামটাও বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে মৌসুমের শেষ পর্যায়ে ইলিশ ধরা পড়ার ব্যাপারে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৫ বছরের ইলিশ মৌসুম অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
আগে যেখানে জুন-জুলাইকে ইলিশের মৌসুম হিসাবে ধরা হতো। সেটা এখন সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে র্মাচ পর্যন্ত চলে। গত কয়েকটা বছর দেখা যাচ্ছে শীতের সময়তে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। মূলত উজানের পানি নামার ঢল, নদীর ডুবোচর, নদী দূষণ ও আবহাওয়া জনিত কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে জানান তিনি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম আরো বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান সফল করতে জেলার ১ লাখ ২০ হাজার জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ এসেছে। যা কিছুদিনের মধ্যেই বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া মা ইলিশ সংরক্ষণে বিভিন্ন মাছ ঘাট, আড়ৎগুলোতে প্রচারাভিজান চালানো হচ্ছে। একইসাথে ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট এর মাধ্যমে জনসাধারণকে আরো সচেতন করা হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com