নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী ২২ অক্টোবর বোধন পূঁজার মাধ্যমে এবছর শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গা পূজা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে উদযাপনের রঙ অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। বিভিন্ন নিয়ম কানুনের বেড়াজালে আটকে ফেলা হয়েছে এবারের উৎসব। তবে এ সবকিছুই করা হয়েছে বরিশালবাসীর ভালোর জন্য এমনটাই জানিয়েছেন পূূজা উদযাপন কমিটির নেতৃন্দ। তাই অনাড়ম্বর আয়োজনে এবারের দুর্গা পূজা উদযাপনে বেঁচে থাকার প্রার্থনাই বড় হয়ে উঠেছে।
বরিশাল জেলা ও মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মহানগরীতে এবার পূজা মন্ডপ হবে ৪২ টি। এর মধ্যে ৬ টি ব্যক্তিগত বাকিগুলো সর্বজনীন। যা গতবারের তুলনায় একটি বেশি। অন্যদিকে জেলায় মন্ডপ হবে ৫৭৫ টি। এর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ২২ টি, আগৈলঝাড়া ১৫৭ টি, উজিরপুরে ১১০ টি, গৌরনদী ৮০ টি, বাকেরগঞ্জ ৭২ টি, বানারীপাড়া ৫৯ টি, হিজলা ১৫ টি,মুলাদী ১২ টি এবং বাবুগঞ্জ ও মেহেন্দিগঞ্জে ২৪ টি করে মন্ডপ তৈরি করা হবে। জেলাতেও গতবছর চেয়ে একটি মন্ডপ বেশি হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মন্ডপগুলোতে কিছু নিয়ম কানুন বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মন্ডপে ঢুকতে হলে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া পূজার প্যান্ডেলগুলো রাত ৯ টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলেও জানা গেছে। একই সঙ্গে এবার জেলা কিংবা মহানগরীর কোথাও তোরণ কিংবা অতিরিক্ত আলোকসজ্জা হবে না বলেও জানিয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ। এদিকে মহানগরীর পূজা মন্ডপ গুলোতে অনলাইনে অঞ্জলি প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এবারের বিসর্জন রাতে না করে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে করে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সর্বজনীন সকল মন্ডপ গুলোর কর্তৃপক্ষকে। একই সঙ্গে বিগত দিনে বরিশালে দুর্গা পূজা উপলক্ষে যে মেলা অনুষ্ঠিত হতো তা এবার হবে না।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত লিটু বলেন, ‘এ বছরের পুরো পরিস্থিতি অন্যরকম। এই পরিস্থিতিতে দুর্গা মায়ের কাছে সকলে চাইবো যেন পৃথিবী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আর হিন্দুধর্মাবলম্বী সকলের কাছে নিবেদন থাকবে সবাই যেন পূজা উপলক্ষে বেঁধে দেয়া সকল স্বাস্থ্য বিধি এবং অনুশাসন মেনে চলেন’।
সুরঞ্জিত দত্তের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন বরিশাল জেলা সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক মুখার্জি কুডু। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে এবারের পূজার রং ফিকে হয়ে গেছে। তবুও সবাই মিলে যেন সুস্থ ভাবে আগামীবার পূজায় আনন্দ করতে পারি সেজন্য জীবনঘাতি ভাইরাস মোকাবিলার জন্য পূজা উদযাপনে সকলে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলবো। এতে করে বরিশালবাসীর সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর মঙ্গল হবে’।
Leave a Reply