নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলায় নৌ-পুলিশ ও জেলেদের ভিতর সংঘর্ষের ঘটনা গটেছে।এতে ২ নৌ-পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হিজলা স্বাস্থ্য কমপোলক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র জানায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার থেকে ১ টার দিকে হিজলার মেঘনাার আন্তরভাম এলাকায় নৌ পুলিশ এবং জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে নৌ পুলিশের ড্রাইভার মনিরুল ইসলাম ও আবুজাফর গুরুতর আহত হয়। মনিরুলকে গুরুতর অবস্থায় শুক্রবার রাতেই হিজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন তিনি বর্তমানে সংকা মুক্ত। আহত মনিরুল জানান বৃহস্পতিবার সারে ১২ থেকে রাত ১টার মধ্যে ৫ থেকে ৭ জনের একটি জেলে দলকে নৌকাসহ আটক করার চেষ্টা করে, ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নৌ পুলিশ। এর পরেই জেলেদের ৪০ থেকে ৫০ জনের অপর আর একটি গ্রুপ তাদের ওপর আক্রমন চালায়। ছিনিয়ে নেয় আটককৃতদের।
নৌ থানার ওসি বেল্লাল হোসাইন জানান, রাতে অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মৎস্যকর্মকর্তা ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তারা দেবুয়া- আন্তরভাম এলাকায় নৌ পুলিশের টিম রেখে আসেন। পরবর্তীতে এ এস আই পারভেজ, এ এস আই নজরুল সহ সংগীয় ফোস একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২ জনকে আটক করে পুলিশ। সংগে সংগে জেলেদেও বিশাল গ্রুপ এসে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নৌ পুলিশের সদস্য মনিরুল ইসলাম এবং আবুজাফরকে আহতকরে নদীতে ফেলেদিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রাতেই মনিরুলকে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় একাধিক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘ দিন নৌ পুলিশ জেলেদের কাছ থেকে মাসহারা নিয়ে নদীতে মাছ শিকার করার সুযোগ করে দেন নৌ-পুলিশ। আবার পরবর্তীতে তাদের আটক করে উক্ত মাসোহারা দেয়া জেলেদের। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমন করে নৌ পুলিশের উপর।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, তিনি অভিযানে ছিলেন না। তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন, দেবুয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুলচন্দ্র কবিরাজের ফোনে জানতে চাইলে জানান, হিজলায় নৌ পুলিশ জেলে সংঘর্ষ বা আহত বিষয় তিনি কিছু জানে না। নৌ-পুলিশের উপর হামলা করে আটক করা জেলে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ন্যে-পুলিশ এএস আই পারভেজ বাদী হয়ে হিজলায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌ-পুলিশ ওাস শেখ বেল্লল হোসাইন।
Leave a Reply