নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টে জেলেদের হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ১২০ জেলেকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন হামলার শিকার একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল সাহা। অবশ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মামলায় কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার। তিনি জানান, ‘গত মঙ্গলবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামতসহ থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘অভিযানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের একটি খালে ইলিশ শিকারের জন্য জেলেদের প্রস্তুতি চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্পিডবোড নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে মোবাইল কোর্ট টিমে সহযোগীতা করা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত, বন্দর থানা পুলিশের দু’জন সদস্য এবং স্পিডবোড চালক ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়। এসময় সরকারি জানমাল রক্ষায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মোবাইল কোর্ট। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষনে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘ঘটনার একদিন পরে বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মোবাইল কোর্ট অভিযানে সহযোগীতা করা বন্দর থানার এসআই সজল সাহা বাদী মামলা করেছেন। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং হামলা’র অভিযোগ এনে দায়ের করা ওই মামলায় ১০০ থেকে ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলার তদন্ত করে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply