কাতার বিমানবন্দরের বাথরুম থেকে নবজাতক উদ্ধারের পর অস্ট্রেলিয়ার ১৩ নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়েতে ওই ১৩ নারীর অন্তর্বাস খুলে পুরোপুরি নগ্ন করে এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাথরুম থেকে এক জীবিত নবজাতক উদ্ধার করা হয়। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার সিডনির পথে উড়াল দিতে যাওয়া একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে নবজাতকটি কারও কিনা তা জানার চেষ্টা করছিলেন বিমানবন্দরটির কর্মকর্তারা।
যাত্রীরা বলছেন, ওই ১৩ অজি নারীসহ সকল যাত্রীরা বিমানে আসন গ্রহণ করেছিলেন। তাদেরকে জোর করে বিমান থেকে নামানো হয় এবং রানওয়েতে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে নিয়ে আক্রমণাত্বকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ওই নবজাতকের মাকে পাওয়া যায়নি। এরপর তাদেরকে সিডনিতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকার শর্ত সাপেক্ষে বিমানবন্দর ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়।
বিমানটিতে থাকা ওল্ফগ্যাং বাবেক অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসিকে জানান, নারীরা যখন বিমানে ফিরে এলেন তখন তাদের বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যখন তারা ফিরে এলেন অনেকে, সম্ভবত সবাইকেই বিষণ্ন ছিলেন। কম বয়সী এক নারী কান্না করছিলেন। কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, কি ঘটেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পায়নে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। সেদিন আসলেই কী ঘটেছিল সে বিষয়ে কাতারের কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর, আপত্তিকর এবং গভীরভাবে নেওয়ার মতো।’ অবমাননাকর এ শারীরিক পরীক্ষার আগে কোনো নারীকেই ওই পরিত্যক্ত নবজাতকের কথা বলা হয়নি বলেও অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ার।
হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শিশু সুস্থ রয়েছে। তাকে চিকিৎসক ও সমাজকর্মীরা রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। চিকিৎসকরা এ নবজাতকের মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তাকে খুঁজে বের করার অনুরোধ করেছিলেন। যে এলাকায় শিশুটিকে পাওয়া গেছে সেখানে যাওয়া নারীদেরকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
Leave a Reply