নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আশফাক রাজীব হাসান সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।’
এর আগে হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন মারধরের শিকার নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মামলাটি করা হয়। ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- এরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, গাড়িচালক মিজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজন।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিফ আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়।
থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিফ। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেওয়ার হুমকি দেন তারা।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ বলেন, ‘সাংসদ হাজী সেলিমের জিপ গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সামান্য ঘষা লাগায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
Leave a Reply