বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের দামামা

সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের দামামা

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ এবার শুরু হচ্ছে ভোটের রাজনীতি। সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের দামামা। সপ্তাহান্তেই (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গত সোমবার থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারনা। এরপরই বরিশাল-রাজশাহী ও সিলেট সিটির নির্বাচন (৩০জুলাই)। সে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। মাঝে অবশ্য দশম জাতীয় সংসদের একটিসহ কয়েকটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায় হবে উপ নির্বাচন। এরপরই বাজবে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী দামামা।
মাঝে অবশ্য শোকের মাস আগস্ট। এ মাসে অবশ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড তেমন একটি করে না সরকারী দল আওয়ামী লীগ। মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও কাঙালী ভোজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে দলটি এবারও তাই করবে এমন আভাসই রয়েছে। তবে এবার শোকের কর্মসূচীতে নির্বাচনের আবহ থাকতে পারে। যা আরো বিস্তৃত করে গ্রামে গঞ্জে নিয়ে যাবে দলটি। এবারের শোকের মাসটি পালিত হবে ধর্মীয় ভাব গম্ভীর্য ও নির্বাচনী আবহে। দলের প্রতিটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে এ কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় নেতারা ছড়িয়ে পড়বেন তৃণমূলে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়নে আগ্রহী প্রার্থীর অংশ নেবেন এসব কর্মসূচিতে। এ কারণে শোকের হলেও কর্মসূচিতে থাকবে নির্বাচনী আবহ।
বিএনপিও এমাসে তেমন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার দিবসে খালেদা জিয়ার জন্ম দিন পালন নিয়ে তুমুল বিতর্কে থাকে দলটি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে সরকারি দলের নানান মন্তব্য। তীর্যক বাক্যবানে জর্জরিত করা হয় বিএনপিকে। এ কারণে এ মাসে কিছুটা সংকুচিত হয়ে থাকে বিএনপি। গত বছর এ মাসে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন থেকে বিরত ছিল বিএনপি। কিন্ত এ বছর তারা ফিরে যেতে পারে পূর্বের রীতিতে। কারাগারে থাকার কারণে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করতে পারে বিএনপি। দলীয় নেতারা এমন আভাসই দিয়েছেন। এ মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সক্রিয়ও থাকতে পারে বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে আদালত ও রাজপথে কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি। সঙ্গে থাকবে নির্বাচনের প্রস্তুতি।
আগস্ট পেরুলেই সেপ্টেম্বরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য সংবিধানও তাই বলে। এমাসেই গঠন করা হতে পারে নির্বাচনকালীন সরকার। যে সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অক্টোবরে ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের তফসিল। এরপরই রাজনৈতিক দলগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ছে নির্বাচনী যুদ্ধে। অবশ্য বড় দুই দলের মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে কোন ধরণের সমঝোতা ছাড়াই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। রোডম্যাপ প্রস্তুত করে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করেছে নির্বাচন পরিচালনাকারী এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচনী আমেজও ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। কিন্তু নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি থেকে এখন পর্যন্ত এক চুলও সরে আসেনি সরকার বিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া রয়েছেন কারাগারে। দন্ড পাওয়া মামলায় জামিন মিললেও অন্য মামলায় জামিন না পাওয়া তাকে থাকতে হচ্ছে কারাগারে। ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেললেও তাকে ছাড়া কোন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি তা জানান দিচ্ছেন দলটির নেতারা। এমনকি এ নিয়ে তারা আন্দোলনের হুঁমকিও দিচ্ছে। এর বাইরে দেশে-বিদেশে নানান দেন দরবার শুরু করেছে বিএনপি। এর মাধ্যমে একাদশ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চায় তারা। এজন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে তারা বিদেশি সংস্থা বা বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে প্রতিবেশীদেশ ভারতসহ প্রভাবশালী দেশগুলোতে দেন দরবার অব্যাহত রেখেছে। এসবে কাজ না হলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যেমে এর সমাধান চায় বিএনপি। এজন্য দুই জোটের বাইরের সরকারবিরোধী ডান, বাম, মধ্যপন্থী দলগুলোকে নিয়ে একটি বৃহৎ জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। তা হলেই যুগপৎ আন্দোলনের কথা ভাবছে বিএনপি। এ আন্দোলন হবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিতে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তবে দেশের চলমান বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে কারণে অনেকটাই কৌশলী তারা।
অন্যদিকে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট-মহাজোট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতটুকু সম্ভব অংশগ্রহণমূলক করার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে বিএনপিকে কোনো ছাড় দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। দলটির সব আলোচনা এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক। নির্বাচনী ইশতেহার লেখার কাজ চলছে দলটির অভ্যন্তরে। সরকার গঠনে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড করতে নির্বাচনী ইসতেহারে সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। আগামী নির্বাচনের আগে তারা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার বলে শ্লোগান তুলবে। এমনকি গোলযোগপূর্ণ বা অশান্তিপূর্ণ নির্বাচন না স্থিতিশীল দেশ কোনটা চাই জনগণের কাছে এমন প্রশ্নও উত্থাপন করা হবে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে। আগামী নির্বাচন মাথায় রেখে সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করছে ক্ষমতাসীন দলটি। চলছে প্রার্থী যাচাই-বাছায়ের কাজ। নির্দিষ্ট সময়ের বিরতিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর জরিপ কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান এমপি ও মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা নির্বাচনী এলাকায় বেশি বেশি সময় দিচ্ছেন। দলের শীর্ষপর্যায় থেকে বাড়ি-গ্রাম-গঞ্জ, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান এমপিসহ মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এতে নির্বাচনী প্রচারণা উৎসবে পরিণত হয়েছে। ঈদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। গরীবদের মাঝে বিতরন করেছেন খাদ্য ও নতুন খাবার। দলীয় নেতাকর্মীদের দেয়া হয়েছে ঈদ শুভেচ্ছা ও সালামী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ এখন নির্বাচনের মুডে, সবাই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। এগুলো সেমি ফাইনাল, ডিসেম্বরে ফাইনাল। বিএনপিও যে বসে আছে ঠিক তা নয়, সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে,সবাই এতে অংশ নেবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এবার বিএনপি নির্বাচনে না গেলে টিকে থাকতে পারবে না। আমি মনে করি, বিএনপি নীতি-নির্ধারকরা ভালো করেই বোঝেন, যত কিছুই তারা বলেন না কেন- এবার নির্বাচন না করলে এই পার্টি আর থাকবে না। জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের সাংবিধানিক ও নির্বাচনী পদ্ধতি এখন যে পর্যায়ে রয়েছে সেখানে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই কর্তব্য বলে মনে করি। তিনি বলেন, চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত মোকাবেলা করে গত সাড়ে ৯ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে, পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাও বেগবান থাকবে। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, এলাকার এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন,বিএনপি সব সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। এ জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেয়ার দরকার নেই। কারণ, মাঠের আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। তবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত দেবেন আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com