সফল টিকা উৎপাদনের সঙ্গে কি ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী চালের একটা কুটুম্বতা তৈরি হয়েই গেল? তাহলে কি মাত্র আর কয়েকটি দিন অপেক্ষা? তবে এই মুহুর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো লন্ডনের দি টাইমসকে উদ্ধৃত করে বৃটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলেছে, খোদ বৃটিশ সরকারই আর অক্সফোর্ডের সেই টিকা অন্তত মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের টিকার আগে পাচ্ছে না। বৃটিশ কোম্পানিগুলো পিছিয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চীনের দেয়া টিকা ট্রায়াল প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে বলে মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ চীনের ‘সাধা ভাতা’ (যেচে পড়া অনুরোধ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। ভারত টিকার কথা বলেছিল, কিন্তু সেই টিকা তাদের নয়, অক্সফোর্ডের। আর এখন নিশ্চিত যে, অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনে শুরুতে এগিয়ে থাকলেও এখন কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। খোদ বৃটেনেরই ভক্তি এখন ফাইজারে, বৃটিশ এস্ট্রাজেনেকার ওপরে নয়।
বৃটেন ইতিমধ্যেই যে ছয়টি সম্ভাব্য টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে, তার মধ্যে ফাইজার রয়েছে।
এই মার্কিনী ফাইজার, যারা জার্মানির একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে, তারা নভেম্বরের মধ্যে টিকা বাজারে আনতে পারবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘লাস্ট মাইলে’ রয়েছে ফাইজারের টিকা।
এটা রিপাবলিকান টিকা নয়। এটা ডেমোক্রেট টিকা নয়। গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে টিকার দিকে। ফাইজার চাইছে, তারা টিকা দেবে গোটা বিশ্বকে এবং তার মুনাফার পাল্লায় মেপে নয়।
তবে কথা হলো, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল কি টিকা প্রাপ্তি পিছিয়ে দিল? নির্বাচনের জরিপ অনুযায়ী ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন প্রায় নিশ্চিত জয়ী। আর ফাইজার বলে দিয়েছে, নির্বাচনী ফলের আগে টিকা মিলবে না। এখন ফলের পরেই টিকা পেলে, সেটিকে ডেমোক্রেটরাই ক্যাশ করতে পারবে। তখন বিশ্ব দেখবে প্রথম ডেমোক্রেট টিকা। অবশ্য নন্দিত নেত্রী অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের নামটিও আসবে।
আপাতত বৃটেন ফাইজারের টিকা পাবে কিনা, সেই চিন্তায় বৃটেনের তর সইছে না । কার কাছ থেকে আগে পাবে, সেটাই এখন তার সব মনোযোগ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু । টিকা দিতে সক্ষম এরকম ৬ প্রার্থীর সঙ্গে তাই তার আগাম চুক্তি হয়েছে। যে আগে দেবে , তার কাছ থেকেই নিবে বৃটেন । এরমধ্যে এই টিকা ভাগ্যের দৌড়ে এগিয়ে আছে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথ প্রচেষ্টা।
দি ফিনান্সিয়াল টাইমস গত ১৬ অক্টোবর ফ্রাংকফুর্ট থেকে খবর দিয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে মার্কিন অনুমোদন পেতে তারা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবে । কারণ তারা ধরেই নিয়েছে , তারা তাদের বর্তমান ট্রায়াল থেকে অবশ্যই ইতিবাচক অগ্রগতি লাভ করবে।
এর আগে এক খোলা চিঠিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বোরলা উল্লেখ করেছেন যে, টিকার বিষয়ে কত দিনের মধ্যে একটা বিরাট অগ্রগতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে, সেই বিষয়ে তিনি অধিকতর স্পষ্ট করে তাদের অবস্থান ঘোষণা করতে আগ্রহী ।
ফাইজার জার্মানির বায়োটেকের সঙ্গে তারা যে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনকে এগিয়ে নিচ্ছে, তার আওতায় বিশ্বব্যাপী বর্তমানে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চলছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস এর ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রাশিয়া এবং চীন টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম । এই দুটো দেশের কথা আলাদা। বিশ্বের আর কোন দেশকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়নি। সেক্ষেত্রে বলা যায় চীন ও রাশিয়ার পরে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রই।
ফাইজার এর প্রধান নিবার্হী তার ওই চিঠিতে এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, যদিও তিনি তাদের কোম্পানির ট্রায়াল সম্পর্কে অত্যন্ত আশাবাদী । কিন্তু আগামী ৩ নভেম্বরের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে টিকার শট মানুষ পাবে না।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইতিপূর্বে বলেছেন, টিকা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে। অবশ্য তার এই ঘোষণাকে নির্বাচনপূর্ব ক্যাম্পেইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। কর্মকর্তারা এভাবে বিষয়টিকে দেখেছেন যে, টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। এমনকি হোয়াইট হাউস থেকে এ মর্মে নির্বাচনপূর্ব চাপ দেয়া হয়েছে, যাতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালকে ত্বরান্বিত করা হয়।
ফিনান্সিয়াল টাইমস তার রিপোর্টে আরো বলেছে, তারা এমন একটি নথি দেখতে পেয়েছে, যেখানে ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিকা উৎপাদনের অগ্রগতিকে রাজনৈতিক প্রলেপ দিয়ে রঞ্জিত করা হয়েছে, যা জনগণের আস্থাকে ক্ষুন্ন করতে পারে।
ওই খোলা চিঠিতে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল যে , ফাইজার এর প্রধান নিবার্হী বলেছেন, অক্টোবরের শেষ নাগাদ টিকা কার্যকর হতে পারে কিনা সেই খবর ফাইজার জানলেও জানতে পারে, কিন্তু তিনি সতর্ক করে দেন যে, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পূর্বানুমান অনুযায়ী, আগেও আসতে পারে আবার পিছিয়ে যেতে পারে । কারণ যারা ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হারে পরিবর্তন ঘটতে পারে।
ফাইজার এর প্রধান নিবার্হী মি, বোরলা আরো নির্দিষ্ট করে ওই চিঠিতে বলেছিলেন, ‘‘ আমাদের কাছে জনগণের আস্থাটা ধরে রাখাটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ । আর সে কারণেই আমরা যেকোন বিভ্রান্তি মোকাবেলা করতে চাই স্বচ্ছতার সঙ্গে । আর তাই আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা যে টিকা প্রাপ্তির অনুমেয় সময়ের কথা বলছি, সে বিষয়ে মানুষের যাতে পরিষ্কার ধারণা থাকে । মি. বোরলা অঙ্গীকার করেছেন যে, যে ফলাফল তারা পাবেন, তার পূর্ণ বিশ্লেষণ তারা প্রকাশ করবেন। সেটা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক হোক, সেটা তারা করতে চান। বাস্তবতা যত তাড়াতাড়ি সেটা তাদের কে করার সুযোগ করে দেয়।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে যে, মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডিএ– এর কাছ থেকে জরুরি অনুমোদন পেতে হলে তাকে অবশ্যই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্তত অর্ধেকের বিষয়ে সেফটি ডাটা ড্রাগ দাখিল করতে হবে ।
চূড়ান্ত ডোজ দেয়ার পরবর্তী দুই মাস টিকা গ্রহণকারীদের উপর তার প্রতিক্রিয়া কি হয়, সে বিষয়টি তাদের জন্য দেখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ফাইজার এবং বায়োটেকের টিকা দুটোই উৎপাদন করা হচ্ছে নতুন উদ্ভাবিত এমআরএন এ প্রযুক্তির সহায়তায় এবং ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের ওপর আলাদাভাবে দুটো টিকার টেস্ট চালানো হচ্ছে।
মার্কিন এবং জার্মান দুটি কোম্পানিই বলেছে, চলতি বছরেই তারা বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়ন টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম হবে । এবং ২০২১ সালের মধ্যে তারা অন্তত ১৩০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে পারবে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই ফাইজারের সঙ্গে ৬শ মিলিয়ন ডোজ তাদেরকে সরবরাহ করার জন্য চুক্তিতে পৌঁছেছে । আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুশ মিলিয়ন ডোজ নিশ্চিত করতে চুক্তি করার জন্য ফাইজারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ।
ওই দুটি কোম্পানির সঙ্গে আরও যারা চুক্তি করেছে, তাদের মধ্যে বৃটেন ছাড়াও জাপান রয়েছে।
এদিকে ঢাকায় মানবজমিন ডেস্ক লক্ষ্য করেছে যে, পশ্চিমা দুনিয়ার বাইরে আয়ারল্যান্ডে ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানির যে টিকা সেটি পরিচিতি পাবে বিটিএন টিকা নামে এবং এই টিকা ’’মাত্র কয়েক সপ্তাহের’ মধ্যেই আয়ারল্যান্ডে পৌঁছে যাবে।
ট্রাইলসাইটনিউজ ডটকম শুক্রবার আরো উল্লেখ করেছে যে, ফাইজার এবং বায়োটেক এর যৌথ টিম তাদের ট্রায়াল প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অর্থ গ্রহণ করেনি।
আয়ারল্যান্ড এ ফাইজারের কান্ট্রি ডিরেক্টর সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘ আমরা ২০২০ সালের শেষ হবার আগেই ১শ মিলিয়ন ডোজ পেতে পারি । আমরা যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের সঙ্গে আগাম চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি, তাহলে সেটা নিশ্চিত বলা যায়, ওই টিকার অংশবিশেষ দিয়ে আমরা গোটা ইউরোপকে সরবরাহ করতে পারি।
ফাইজারের কান্ট্রি ম্যানেজার আরো বলেছেন, টিকা উৎপাদনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে ফাইজার দিনরাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তার কথায়, ‘‘ যদি মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডিএ এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি ইএমএ জরুরি ভিত্তিতে যাকে সংক্ষেপে বলা হয়, ‘‘ ইমার্জেন্সি মেডিসিন অথোরাইজেশন, সেটা অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের গোড়ার মধ্যে দিতে রাজি হয়, তাহলে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই জনগণকে টিকার মুখ দেখানো সম্ভব হবে।
ট্রায়ালসাইট তাদের রিপোর্টে আরো উল্লেখ করেছে, চূড়ান্তভাবে মার্কিন এবং ইউরোপীয় রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়পত্র দেয়ার জন্য গুণগতমন সম্মৃদ্ধ তথ্য উপাত্ত সবথেকে বড় বিবেচ্য বিষয় হবে । মার্কিন ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই টিকা অনুমোদন দেয়ার আগে তাদের নিজস্ব বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরীক্ষা করাবে । এমনকি এই তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ্য সভায় স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে রিভিউ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, রয়টার্সের উক্ত প্রতিবেদনটি লন্ডনের দি টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে । এই প্রতিবেদনটি টাইমসের বরাতে পাঠানো হয়েছিল রয়টার্সের বেঙ্গালুরু প্রতিনিধি থেকে । সেখান থেকে তাদের ডেস্ক সম্পাদনা করেছেন । মানবজমিন ডেস্কের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দি টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনটি ২৮ অক্টোবর লিখেছেন পত্রিকাটির যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত বাণিজ্য সম্পাদক জেমস ডিন।
রয়টার্স খবরটি শুরু করেছে এভাবে : বৃটিশ সরকারের ঊর্ধ্বতন সূত্রগুলো আশা করছেন, বৃটিশ এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এর ফলাফল প্রকাশের আগেই ফাইজার ইনকর্পোরেশন সমর্থিত কোভিড –১৯ টিকা বাজারে পাওয়া সম্ভব হবে কিনা।
উল্লেখ্য যে , বৃটিশ এস্ট্রাজেনেকা মার্কিন ফাইজার সমর্থিত টিকার সঙ্গে বর্তমানে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃটেন বিশ্বাস করে যে, ফাইজার জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে উৎপাদনের যে প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সেই টিকা ক্রিসমাসের আগেই বন্টন করার জন্য তারা প্রস্তুত থাকতে পারে।
ফাইজারের প্রধান নিবার্হী অ্যালবার্ট বোরলা ইতিপূর্বে বলেছেন, চলতি মাসের গোড়ায় টিকা কার্যকর হবে কি হবে না সেই বিষয়ে তারা ডাটা সরবরাহ করতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ওষুধ কোম্পানিটি চলতি সপ্তাহে বলেছে, যদি তাদের টিকার পরীক্ষা সাফল্যমন্ডিত হয়, তাহলে মার্কিন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা একটি জরুরি অনুমোদন পাওয়ার আবেদন জানাবে এবং কোম্পানিটি আশা করছে, নভেম্বরের শেষ নাগাদ এই বিষয়ে পর্যাপ্ত ডাটা তাদের হাতে আসবে। দি টাইমস পত্রিকার
জেমস ডিন তার প্রতিবেদনের শুরুতেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন । তার রিপোর্ট শুরু করেছেন এভাবে: ’’ ফাইজার টিকা উৎপাদনের ’’ শেষ মাইলে’’ পৌঁছে গেছে । কিন্তু এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রায়াল ডাটা আনুষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ করার দিক থেকে কোম্পানিকে ’’ধৈর্য’’ ধরতে হবে। ২৭ অক্টোবরে ফাইজার চিফ এক্সিকিউটিভ এই মন্তব্য করেছেন।
ঢাকায় বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, এটা কোনোভাবে নির্বাচনী ফলাফলের দিকে ইঙ্গিতবহ কিনা।
ইতিপূর্বে অ্যালবার্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, অক্টোবরের শেষ নাগাদ তারা তাদের সর্বশেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করতে পারবে । কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে , এটা ’’অন্তত আরো এক সপ্তাহের মধ্যে সম্ভব হবে না।’’ তার মানে ট্রাম্পের ভাগ্যে এই ঘোষণাটি দেওয়া সম্ভব হবে কিনা, সেটা অনিশ্চিত।
দি টাইমস প্রতিবেদক যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও লিখেছেন, ফাইজারের টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৃটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী গোষ্ঠী এস্ট্রাজেনেকা এবং মার্কিন ওষুধ কোম্পানি জনসন এন্ড জনসন এন্ড মডার্নারের সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত রয়েছে ।
Leave a Reply