নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এবার ঘোষনা দিয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন তিনদফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২ টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করে। এরআগে ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন এর প্যাডে পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্র প্রদান করা হয়। সেখানে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তরিকুল ইসলামের সাক্ষর রয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিষ্ট্রার ডাঃ মাসুদ খানের অনৈতিক ও হীন কর্মকান্ডের জন্য ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালক বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হলো।
অপরদিকে স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্র আরো বলা হয়েছে শনিবার দুপুর ২ টার মধ্যে তাদের ঘোষিত তিনদফা দাবীর সমাধান না হলে কর্মবিরতি যেতে বাধ্য ইন্টার্নরা। দাবিগুলো হলো, ডাঃ মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডাঃ মাসুদ খান এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এর সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা। উল্লেখ্য গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিষ্ট্রার ডাঃ মোঃ মাসুদ খান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন। এর কয়েকদিন পরে ডাঃ মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। কিন্তু মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতাল পরিচালক ও উপ-পরিচালকের হস্তক্ষেপে আড়াইঘন্টার আলোচনা শেষে রাত আড়াইটায় কর্মবিরতি থেকে সরে আসে ইন্টার্নরা। সেসময় ইন্টার্নরা কিছু আল্টিমেটামও বেধে দেয় কর্তৃপক্ষকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষনা দিয়ে কর্মবিরতি শরু করে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আজ আলোচনায় বসা হয়েছিলো। কিন্তু কোন পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। তবে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক। উল্লেখ্য এ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় দেড়শত ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। যারা করোনাকাল থেকে শরু করে এ অব্দি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply