সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক নবদম্পতির বিয়ে পরবর্তী ফটোশ্যুটের অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে। ভারতীয় লেকস্মি ও ঋষি কার্তিক দম্পতি তাদের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতেই রোমাঞ্চকরভাবে নিজেদেরকে ক্যামেরায় হাজির করেছেন। কিন্তু অন্তরঙ্গ ছবিগুলো শেয়ার করতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে নেটিজেনরা। ছবিগুলোকে অশ্লীল দাবি করে সমালোচনা করেছেন তীব্রভাবে। সেগুলো নিয়ে একাধিক ট্রল হয়েছে। ছবিগুলো সরিয়ে নিতেও সমালোচনাকারীরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন তাদের।
লেকস্মি জানিয়েছেন, এ বছরের এপ্রিলে মহাধুমধামে বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু মার্চে করোনাভাইরাসের কারণে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে যায়। ভারত সরকার সকল ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন। তবে গত সেপ্টেম্বরেই তারা স্বল্প পরিসরে বিয়ের পর্ব শেষ করেন। করোনার কারণে বিলম্বিত এ বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতেই বিয়ে পরবর্তী ফটোশ্যুট করেন তারা। কিন্তু ফেসবুকে ছবিগুলো শেয়ার করার পরই সমালোচনা তৈরি হয়। অনেকে নানা বাজে মন্তব্য করে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলার হুমকি দেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘লেকস্মি ও ঋসি কার্তিক হাস্যোজ্জ্বল ফটোশ্যুট করেছেন। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছেন চা-বাগান। ফেসবুকে শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, তারা পরস্পর অন্তরঙ্গভাবে জড়িয়ে ধরেছেন, ধাওয়া করছেন। ছবিতে সাদা চাদর শরীরে জড়িয়েছেন লেকস্মি।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর কেরালার কোল্লামের একটি মন্দিরে তারা বিয়ে করেন। ঋষি কার্তিক একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করেন। আর লেকস্মি সদ্য স্নাতক শেষ করেছেন। লেকস্মি বলেছেন, ‘ছবিগুলো শেয়ার করার পরই নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয় তাদের। কেউ কেউ এগুলোকে ‘অশ্লীল পর্নোগ্রাফি’ বলেছেন। কেউ সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, ‘পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করতে, রুম খুঁজে নিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অভিজ্ঞতা সত্যিই ভীতিকর। বেশিরভাগ মন্তব্যে আমাকেই টার্গেট করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক নারীও এটা নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। তারা পূর্বের ‘মেকআপ’ ছাড়া ছবি সংগ্রহ করে এই ফটোগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে উপহাস করেছেন।’
ওই দম্পতি জানান, সমালোচনার মধ্যেও অনেকে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। তারা বিষয়টিকে ইতিবাচক দেখছেন। অনেকে ছবিগুলো সম্পর্কে বলেছেন, ‘অ্যামাইজিং, বিউটিফুল’। তারা সমালোচনাকারীদের এড়িয়ে চলতে নবদম্পতিকে পরামর্শ দিয়েছেন।
ওই ঘটনায় উভয়ের পরিবারও ব্যথিত হয়েছে বলে লেকস্মি ও ঋষি কার্তিক জানান। তবে তারা পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়েছেন। স্বজনরা তাদের সাপোর্ট দিয়েছেন। অনেকে ছবিগুলো সরিয়ে নিতে বললেও তা কোনোভাবেই সরিয়ে নেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন ওই দম্পতি। তারা বলেছেন, সেগেুলো সরিয়ে নিলে সবাই মনে করবে ‘আমরা তাহলে অপরাধই করেছি।’
Leave a Reply