যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনা ভাইরাস রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ পার হওয়ার পর এবং সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা রোগীতে সয়লাব হয়ে যাওয়া ঠেকাতে ফের ইংল্যান্ডজুড়ে লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
কোভিড-১৯ মহামারীতে সরকারিভাবে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে দৈনিক ২০ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে উঠলে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। লকডাউনের খবর স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে ফাঁস হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে আয়োজন করা এক সংবাদ সম্মেলনে জনসন জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাতের পর বৃহস্পতিবারের শুরু থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইংল্যান্ডজুড়ে লকডাউন জারি থাকবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (এনএইচএস) ‘চিকিৎসা ও নৈতিক বিপর্যয়’ থেকে রক্ষা করতে জনসন দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
আসছে বড়দিন ‘খুব অন্যরকম’ হতে পারে মন্তব্য করে এখন পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ওই সময় পরিবারের সদস্যরা সবাই একত্রিত হতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন জনসন।
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস উয়িটি ও প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্সকে পাশে নিয়ে জনসন বলেন, ‘আমাদের এখনই তৎপর হতে হবে। তৎপর না হলে আমাদের এই দেশে দৈনিক কয়েক হাজার মৃত্যু দেখতে হতে পারে।’
তিনি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে কম হওয়া সত্ত্বেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালগুলোয় আর রোগী ভর্তি করার মতো শয্যা খালি থাকবে না।
এ সময় লোকজন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। শুধু শিক্ষা, কাজ, ব্যায়াম, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ কেনার জন্য তারা বাইরে বের হতে পারবেন।
এর আগে বসন্তে প্রথমবারের লকডাউনে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও এবার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে। ২ ডিসেম্বরের পর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে এবং অঞ্চলগুলো তিন ধাপের পদ্ধতিতে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের শান্তিকালীন ইতিহাসে এটি অন্যতম কঠোর বিধিনিষেধ।
Leave a Reply