বিদেশ ফেরত ২১৯ বাংলাদেশিকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ হওয়ার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বিদেশে কর্মরত অবস্থায় সে দেশে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। করোনা মহামারীতে দণ্ড মওকুফ করে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় দেশগুলো। কিন্তু দেশে আসার পরও ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ থাকায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ২৭ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সফিউল্লাহ ২১৯ জন বিদেশ ফেরত আসামিকে অব্যাহতি দানের আবেদনসহ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি গ্রহণের জন্য গতকাল রবিবার দিন ধার্য ছিল।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন তদন্ত কর্মকর্তা সফিউল্লাহ প্রতিবেদন দাখিল না করে আদালতের কাছে ৩০ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২১৯ বিদেশ ফেরত আসামিকে গত ৪ জুলাই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সোপর্দিত ২১৯ জনের মধ্যে কুয়েত থেকে ১৪১ জন, কাতার থেকে ৩৯ জন এবং বাহরাইন থেকে ৩৯ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে উল্লিখিত দেশগুলোর কারাগারে ছিলেন বলে পত্র পাওয়া যায়। করোনা ভাইরাস মহামারীর বিষয়টি বিবেচনা করে ওই দেশগুলো বিশেষ বিবেচনায় তাদের সাজা মওকুফ করে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
বিদেশ ফেরত ২১৯ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তৎপরতার তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্বিত হয়। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারার তাদের দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। বিদেশ ফেরত আরও ১৯৭ বাংলাদেশিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারার দায় থেকে অব্যাহতি দানের আবেদন রয়েছে। ধার্য তারিখে আবেদনগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
Leave a Reply