শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
কীর্তনখোলা নদীতে পলিথিন-প্লাস্টিকের স্তূপ, খননকাজ ব্যাহত

কীর্তনখোলা নদীতে পলিথিন-প্লাস্টিকের স্তূপ, খননকাজ ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পলিথিন-প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য অবাধে ফেলা হচ্ছে বরিশালের কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে। এতে পানিদূষণের পাশাপাশি নদীর পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে আগেই। এখন নতুন বিপদ শুরু হয়েছে কীর্তনখোলা খনন করতে গিয়ে। তলদেশে পলিথিনের স্তর এতটাই পুরু হয়েছে যে খননকাজ বিঘিœত হচ্ছে। ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কীর্তনখোলা দক্ষিণাঞ্চলের নৌ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। পাশাপাশি এই অঞ্চলের কৃষিকাজ ও মানুষের জীবন-জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নদীটির বড় অংশ বরিশাল নগরের আশপাশে। এলাকাবাসী ও কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চীন, ভারত ও নেপালে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এসব বর্জ্য পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর বড় অংশ সাগরে চলে যায়। কিছু অংশ নদ-নদীতে থেকে যায়। এর বাইরে দেশের ভেতরে উৎপাদিত বর্জ্যও নদ-নদীতে মিশে যাচ্ছে। প্রতিদিন পলিথিন, প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্য কীর্তনখোলা নদীতে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি বরিশাল নগরের বর্জ্যযুক্ত পানি নগরের বিভিন্ন খাল হয়ে কীর্তনখোলা নদীতে গিয়ে পড়ছে।
নদীর তীরে বা চরে নানা মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য, যা জোয়ারের সময় পানিতে মিশে যাচ্ছে। আবার দেশের অন্যতম নদীবন্দর বরিশালে অবস্থিত। নদীবন্দর দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার পথে প্রতিদিন ছোট-বড় অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। এসব লঞ্চ থেকে বর্জ্য সরাসরি ফেলা হয় নদীতে। বরিশাল নদীবন্দর এলাকা ঘিরে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। বাড়ছে ভাসমান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। ফলে পন্টুনসংলগ্ন এলাকায় নদীতে দূষণ সবচেয়ে বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল লঞ্চঘাট, নগরের ভাটারখাল, ডিসি ঘাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর চরে বিপুল পরিমাণে পলিথিন, প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যের স্তূপ। জোয়ারের সময় সহজেই এসব বর্জ্য নদীর পানিতে চলে যায়। নৌবন্দরে আসা যাত্রী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পলিথিন ও পানির বোতল, প্লাস্টিকের সামগ্রী সরাসরি নদীতে ফেলছেন। এ ছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ঘাটে নোঙরের পর আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে ফেলা হচ্ছে নদীতে।
ঢাকার সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথগুলোর অন্তত ৩০টি স্থানে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা–সংকটের আশঙ্কায় এসব স্থানে খননের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গত ১৫ অক্টোবর থেকে কীর্তনখোলায় খননযন্ত্র বসিয়ে নদী খনন করা হচ্ছে। এই কাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, একটি খননযন্ত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০–১২ ঘণ্টা কার্যক্রম চালাতে সক্ষম। বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় আগে তাঁরা সর্বোচ্চ ১১ ঘণ্টা একনাগাড়ে খনন করতে পারতেন। কিন্তু এখন খনন করতে গিয়ে পাঁচ–ছয় ঘণ্টার বেশি কাজ চালানো সম্ভব হয় না। নদীবন্দরের পন্টুনসংলগ্ন এলাকায় খনন করতে গিয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ড্রেজারের কাটারে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য আটকে যাওয়ায় মেশিন বন্ধ করে বারবার কাটার পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এতে খননের সময় ও ব্যয় দুটিই বাড়ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com