যানজট নিরসনে ঢাকার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই টোল সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ১০ মিনিটে পৌঁছানো যাবে তেজগাঁও থেকে কাঁচপুর। আর গাড়ি থেকে টোলের টাকা সরাসরি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে সওজের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, নগরীর ভেতর চার লেনের এই মহাসড়ক নির্মাণে যানজট কমে যাবে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগকারী নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, শিগগির প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উত্থাপন করা হতে পারে।
জানা গেছে, হাতিরঝিল-রামপুরা ব্রিজ-বনশ্রী-ডেমরা হয়ে শিমরাইল পর্যন্ত মহাসড়কটি নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সাড়ে নয় কিলোমিটার হবে উড়ালপথ। বাকি ৪ কিলোমিটার পথ থাকবে সমতলে। চার পয়েন্টে গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে এ মহাসড়কে। ধাপে ধাপে ২১ বছরে ৪২ কিস্তিতে বিনিয়োগকারীর অর্থ পরিশোধ করবে সরকার। বড় বিষয় হচ্ছে- সাধারণত টোলের টাকা বিনিয়োগকারী সরাসরি গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের টোলের টাকা জমা হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। পাঁচ বছর পর পর টাকা দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীকে। তবে সড়কের গুণাবলি সঠিক রাখার শর্ত থাকবে। ২০২১ সালে মহাসড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হবে। সাপোর্ট প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। এজন্য ২ হাজার ৯১ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি চলতি মাসে মন্ত্রিসভা (সিসিএ) কমিটিতে পাঠানো হতে পারে।
সওজ জানিয়েছে, সড়কটি হাতিরঝিল সংলগ্ন রামপুরা সেতুর কাছ থেকে শুরু হয়ে বনশ্রী-মেরাদিয়া-আমুলিয়া-ডেমরা পর্যন্ত যাবে। এ প্রকল্পের ফলে ঢাকা শহর থেকে বের হওয়ার উন্নত করিডোর তৈরি হবে। এতে প্রতিদিন ১১ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। মহাসড়কটি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জসহ অন্য জেলা সংযোগ করবে। যুক্ত করবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে। প্রস্তাবিত রুটটি রাজধানীর গুলশান, বাড্ডা, ফার্মগেট, তেজগাঁও, বনানী, রামপুরা ও উত্তরার যানবাহনকে আকৃষ্ট করবে।
সূত্র মতে, রামপুরা ব্রিজ থেকে এলিভেটেড হয়ে বনশ্রী-ডেমরা শিমরাইল পর্যন্ত হবে উড়ালপথ। সড়কটির রামপুরা থেকে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত। বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল থেকে মেরাদিয়া পর্যন্ত ১ দশমিক ২৫ কিলোমিটার সওজের অন্তর্ভুক্ত। রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরাদিয়া পর্যন্ত বর্তমানে সড়কের পাশে লেক রয়েছে। লেক ও বিদ্যমান সড়কের মধ্যে অব্যবহৃত সড়ক ঢালে পিয়ারের মাধ্যমে এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply