বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বাকেরগঞ্জের ভরপাশা ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন হাওলাদারের পুত্র সঞ্জয় হাওলাদার অভিনব কৌশলে অবলম্বন করে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর নাম করে এক নারীকে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাওয়ায়। ওই খাবার খেয়ে নুপুর আক্তার অচেতন হয়ে পড়লে সেই সুযোগে ব্লাকমেইলার সঞ্জয় হাওলাদার বিভিন্ন রকমের ছবি তুলে মোবাইলে ধারণ করে। ধারণকৃত ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই ব্লাকমেইলার। সঞ্জয় হাওলাদারের ক্ষপ্পরে পড়ে নুপুর তার আয় করা টাকা দিতে দিতে বর্তমানে নিস্যজীবন যাপন করছে। এ বিষয়ে নুপুর আক্তার বলেন, চাকুরীর সুবাদে সঞ্জয় নুপুরকে বোন বলে ডাকার ফলে উভয়ের সাথে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে। এভাবে অনেক দিন একসাথে চলায় আমাদের ভাই-বোনের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এ পর্যায় সঞ্জয় আমাকে খাওয়াবে বলে বরিশাল রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। তখন সঞ্জয় খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দিলে সেই খাবার খেয়ে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। তারপরে কি হয়েছে আমি জানি না। ঘন্টাখানেক পর আমার জ্ঞান ফিরলে সে আমাকে বাসায় পৌছে দেয়। পরবর্তীতে সঞ্জয় আমার অচেতন অবস্থায় তোলা মোবাইলে ধারণকৃত ছবিগুলো দেখিয়ে ইন্টারনেটে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে বার বার টাকা দাবি করে। সামাজিকভাবে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে আমিও তার দাবিকৃত টাকা দিতে থাকি। এভাবে ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এভাবে সঞ্জয়ের দাবিকৃত টাকা দিতে দিতে আমি নিস্ব: হয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি এলাকায় খোজ নিয়ে জানতে পারি সঞ্জয় ভালো মুখোশের আড়ালে আরও অনেক মেয়েকে এভাবে ব্লাকমেইল করে টাকা নিয়েছে। মুলত সঞ্জয় একজন মাদক সেবনকারী, জুয়াখোড় ও নারী লোভী। শুধুই আমি নই সে আরও অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এই সঞ্জয়। মাদক সেবনকারী, জুয়াখোড় ও নারী লোভী সঞ্জয়ের ব্লাকমেইলের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের নেকদৃষ্টি কামণা করছে ভুক্তভোগী নুপুর।
Leave a Reply