কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের রিমান্ড শুনানি হবে আজ। আদালত এ দিন ধার্য করেন। গতকাল আসামিদের চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীর ১০ এবং দুই শিক্ষকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে কুষ্টিয়া মডেল থানাপুলিশ।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আমলি আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের আদালতে গতকাল দুপুরে আসামিদের হাজির করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদের (রা) হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল ম-লের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার জানান, কুষ্টিয়া শহরের নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারায় মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করেছি। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ। পর দিন শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a Reply