কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চারজনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের চার দিনের এবং দুই ছাত্রের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক।
এর আগে সোমবার দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০দিন এবং একই মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস।
গ্রেপ্তারকৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- জুগিয়া এলাকার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)। আর একই মাদ্রাসার গ্রেপ্তার দুই শিক্ষক হলেন- মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলামিন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে লিখিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, ছাত্র আবু বকর মিঠুন ও সবুজ ইসলাম নাহিদ সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙার কাজটি করে। সেসময় শিক্ষক আলামিন হোসেন ও ইউসুফ আলী পাহারায় ছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্র কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Leave a Reply