উজিরপুর প্রতিবেদক ॥ “প্রতিবন্ধিরা সমাজের বোঝা নয়, তারাও মানুষ” তাদেরও সমাজে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এরকমই একজন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী তামান্না জাহান এর কথা। তার রং তুলিতে রয়েছে জাদুর ছোঁয়া, রয়েছে সূচিকর্মেরওবেশ অভিজ্ঞতা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ বিভিন্ন ছবি যেন জীবন্তরূপ দান করেছে। শুধু তাই নয় হাতের তুলির ছোঁয়ায় বিভিন্ন মনোমুদ্ধকর দৃশ্য এঁকে চলছে। তামান্না জানে না তার ভবিষ্যৎ কোথায় ! প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েই চলছে তাদের সংসার। প্রতিবন্ধি তামান্না জাহান এর বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের হতদরিদ্র পিতা ওবায়দুল কবির বিশ্বাস ও মাতা আফরোজা বেগমের একমাত্র সন্তান। তামান্না জাহান বয়স তার ২০ এর কোঠায়। প্রতিবন্ধী তামান্না তার মা আফরোজা বেগম বলেন, ছোট বেলাতেই ভয়াবহ অসুখে বাক ও শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলে। আমাদের একমাত্র সন্তান নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে শেষ সম্ভল ভিটেমাটিও বিক্রী করে ফেলেছিন। তার (তামান্না) পিতা বর্তমানে অসুস্থ সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতা হারিয়েছে।
আমি (মা) সন্তানের চিন্তায় বিভিন্ন অফিস ও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমাদের মৃত্যুর পরে প্রতিবন্ধী এই সন্তান তামান্না জাহান যেন সমাজের বোঝা না হয়। তামান্না ছোট বেলা থেকেই একা একা তার নিজের চেষ্টায় চিত্রকর্মে পারদর্শী। সে কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন না করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ বিভিন্ন ছবি যেন জীবন্তরূপ দান করেছে। শুধু তাই নয় হাতের তুলির ছোঁয়ায় বিভিন্ন মনোমুদ্ধকর দৃশ্য এঁকে চলছে। সে ছবি এঁকে অনেক আনন্দ পায়। তামান্না জানে না তার ভবিষ্যৎ কোথায় ! সামান্য প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েই চলছে তাদের সংসার। প্রতিবন্ধী তামান্না তার মা আফরোজা বেগম সাংবাদিকদের আরো জানান, গরীবের সংসারে যেন একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম না নেয়। সন্তানকে কোথাও এতটুকু মাথা গোজার ঠাই চাকুরী অথবা বিবাহ দিতে পারলেই যেন শান্তিতে মরতে পারতাম। প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকার অনেককিছু করেছে শুনেছি আমাদ এই মেয়েটার জন্য তেমন কিছু পেলামনা।
এই মেধাবী প্রতিবন্ধি তামান্না জাহান সহায়তা পেলে সমাজে বোঝা না হয়ে ছবি এঁকে স্বাবলম্বী হতে পারে।
Leave a Reply