জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৮ জনে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৮০ জন।
এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ৬ লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬১ হাজার ১৫৬ জনে। মঙ্গলবার এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৫ জন।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি রোগী। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৯ হাজার ৭১৭ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং একইসাথে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যেন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৭ লাখ ৩ হাজার ৭৭০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫৮ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী সাড়ে ৬৬ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৯ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯০৬ জনে।
একদিনে নতুন করে ২ হাজার ২০২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জনে পৌঁছেছে।
২৪ ঘণ্টায় ১৩৭ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৭ হাজার ২০০টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৮৪টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ২৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২.৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.৬৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ এক হাজার ১৯৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং নারী সাতজন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply