শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
আসছে ১০ হাজার কোটি টাকার আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ

আসছে ১০ হাজার কোটি টাকার আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ

সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ সুদ ধার্য করে নতুন একটি প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে। এই প্যাকেজের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। করোনার প্রভাব মোকাবেলায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) দ্রুত প্রণোদনা ঋণ প্রদানে এ প্যাকেজটি তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য তুন নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তহবিল ঘোষণা করা হবে। এ খাতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন।
জানা গেছে, ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে শুধু চলতি মূলধন খাতে এ প্রণোদনা ঋণ দেয়া হবে। এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে বছরে ১৪ শতাংশ। তবে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণগ্রহীতাদের জন্য ৯ শতাংশ সুদ প্রযোজ্য হবে। অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে সরকার। তহবিলের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে সরকার সুদ ভর্তুকি দেবে এক বছর পর্যন্ত।

গেল সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, করোনার প্রভাব মোকাবেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দ্রুত দারিদ্র নিরসনে সিএমএসএমই খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে এসব খাতের উদ্যোক্তাদের কাক্সিক্ষত মাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব খাতের একটি বড় অংশ ‘মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন’ (এমএফআই)-এর মাধ্যমে ঋণ নিয়ে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’ (এমআরএ) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত এমএফআই তথা ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতে প্রণোদনা ঋণ প্রদানে পৃথক একটি নীতিমালা দরকার।

 

প্রস্তাবিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়ন করবে এবং অন্য দিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে এমএফআইগুলোকে অর্থায়ন করবে। এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিদ্যমান ঋণ স্থিতির সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রণোদনা ঋণ তহবিলের আওতায় ঋণ নিতে পারবে। একটি ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ তিনটি ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবে, তবে মোট গৃহীত ঋণ নির্ধারিত ঋণসীমার মধ্যে থাকতে হবে।

গৃহীত ঋণের ন্যূনতম মেয়াদ হবে দুই বছর। ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক পর্যায়ে তাদের মোট প্রদেয় ঋণের ৪৫ শতাংশ ট্রেডিং খাতে এবং ৫৫ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে বিতরণ করতে পারবে। বিতরণকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে গ্রাহক পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। তবে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহক নির্বাচন, ঋণ বিতরণসংশ্লিষ্ট ব্যয়, গ্রেস পিরিয়ড, ঋণের কিস্তি, ঋণ আদায়, ঋণ শ্রেণিকরণ ও মনিটরিং ইত্যাদি বিষয় ‘এমআরএ’ ও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে ঋণসীমা হচ্ছে কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা, ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা ও ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা। গ্রাহকরা সরকার থেকে সর্বোচ্চ এক বছর সুদ ভর্তুকি সুবিধা পাবেন। ঋণপ্রাপ্তির জন্য গ্রাহকদেরকে আবেদনপত্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন সনদ/পাসপোর্টের কপি; ট্রেড লাইসেন্স/সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভার কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র এবং যেকোনো দুইজনের গ্যারান্টি দাখিল করতে হবে।

প্রণোদনা ঋণ তহবিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবিত নীতিমালায় বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ ঋণ তহবিলের জন্য আবেদনকারী ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘এমআরএ’ থেকে ঋণ প্রাপ্তির সক্ষমতাবিষয়ক প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে; অর্থায়নকারী ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়নপত্র চাইবার তিন কার্যদিবসের মধ্যে এমআরএ এ-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সরবরাহ করবে; প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তির সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে; অর্থায়নের ক্ষেত্রে এমএফআই’র পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক শুধু ঋণ পরিশোধের ঘোষণাপত্র ও বিদ্যমান ঋণ স্থিতি জামানত হিসেবে রাখা যাবে; অর্থ প্রাপ্তির সাথে সাথে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করবে এবং এ নীতিমালার আওতায় গৃহীত ঋণ দ্বারা বিদ্যমান কোনো ঋণ সমন্বয়/পরিশোধ করা যাবে না। ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক/এমআরএ বরাবর চাহিদা মোতাবেক সময়ে সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনার প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় মোট ২১টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর সাথে আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে এক লাখ ২১ কোটি টাকা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com