শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে জামালপুরে

চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে জামালপুরে

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় ভেঙে পড়েছে জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ। গুরুতর ও মুমূর্ষু অনেক রোগী সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও স্বজনরা।

গতকাল জামালপুর শহরের ডাকপাড়ার বাসিন্দা জান্নাত বেগম দেড় বছরের শিশু কন্যার চিকিৎসার জন্য আসেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।

শহরের মুসলিমাবাদ এলাকার জবেদা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইসে ঘুরে গেলাম, চিকিৎসা করতে পারলাম না। ডাক্তার এখন কবে আসবো আমিতো জানি না। আমার কিডনির সমস্যা। অপারেশন করা দরকার। খুবই কষ্টে আছি আমরা। এইভাবে চলতে পারে না। এই ধর্মঘট কবে শেষ হবে?’

শুধু জবেদা খাতুন জান্নাত বেগম নন, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা শত শত রোগীকে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার আন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীরাও চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। জরুরি বিভাগে নামমাত্র সেবা দেওয়া হলেও রোগীশূন্য হয়ে পড়ছে বিভাগটি।

তবে জামালপুর আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য জরুরি ও আন্তঃবিভাগের সেবা চালু রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

গত ২৫ ডিসেম্বর একজন নারী রোগীর মৃত্যু ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা-ভাঙচুর ও কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদ এবং সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহর ও দোষীদের শাস্তিসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে জামালপুরের সব চিকিৎসক।

এদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মৃত রোগীর স্বজন ও প্রতিবেশীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় শহরের বকুলতলা চত্বরে জামালপুরবাসীর ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে এলাকাবাসীর পক্ষে শামীম আহম্মেদ, বিজু, হিরু, সোহেল, রয়েল ও রানা ম্যানশন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডাক্তারদের অবহেলায় করিমন নেছার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে চিকিৎসকরা করিমন নেছার স্বজনদের ওপর হামলা, মারধর এবং মামলা করে। বক্তারা অতি দ্রুত এই মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি এবং দোষী ডাক্তারের শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com