বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিজ গরু নিয়ে শ্বশুড় বাড়ী যাওয়ার সময় চোর চোর বলে স্থানীয়রা রশিদিয়ে বেধে নির্যাতন করে গুরুত্বর আহত করেছে ইয়ামিন কাজী নামে এক ব্যবসায়ীকে। তবে আহতের বাবা শহীদুল্লাহ কাজি বলেন,কতিপয় ব্যক্তি গরু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এ ধরণের ঘটনা সৃষ্টি করেন। শুক্রবার আশংঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য আহতকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে একটি মামলা হয়েছে।গ্রেফতার করা হয়েছে আলম(৩০) নামক যুবক কে। কুতুবা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে পদ্মা ব্রিক্সস এর কাছে এঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি দেউলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাজি বাড়ীর শহীদুল হক কাজীর ছেলে। সে তালুকদার হাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী। আহতের বাবা শহিদুল্যাহ কাজী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে তার ছেলে ইয়ামিন বাড়ী থেকে অটোরিক্সায় (বোরাক) করে ২টি বাছুর গরু নিয়ে কুতুবা ইউনিয়ের ৪নং ওয়ার্ডে তার শ্বশুর ছিদ্দিক মাতাব্বরের বাড়ীতে রওয়া হয়। পথিমধ্যে শান্তির হাট বাজারের পূর্বপাশে পদ্মা ব্রিকস্ এর সামনে সকাল ১১টায় পৌছালে স্থানীয় ২০/২৫ জন তাদের অটোরিক্সা (বোরাক) এর গতিরোধ করে। তারা গাড়ীতে থাকা বাছুর গরু ২টি নিয়ে যেতে টানা হিচড়া শুরু করেন। একপর্যায় ইয়ামিন গরু দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তাকে গরু চোর আখ্যা দেয়। গরুর রশি দিয়ে বেধেঁ অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে, অবস্থা খারাপ দেখে কয়েক জন তাকে বোরহানউদ্দিন সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার একদিন পর স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি মিমাংসার জন্য বুধবার দিন ধার্য করে। ওই ইউপি সদস্য বিষয়টার মিমাংসা না করে উল্টাে শহীদুল্লাহ কাজিকে মামলা না করতে হুমকি দেন এমন অভিযোগ তার। ওইদিনই সন্ধ্যায় তিনি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং শুক্রবার রাতে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে। তিনি আরো জানান, তার ছেলের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় শুক্রবার সকালে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করে। সে এখন বাংলাদেশ মেডিকেল আশংঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিকাশ জানান, আলম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, এ ঘটনায় ৮ জনকে জ্ঞাত এবং ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতে প্রধান আসামী আলম (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও দেখে সনাক্ত সাপেক্ষে অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply