নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম জহির উদ্দিন স্বপনের নগরীর ভাটিখানার বাড়িতে রোববার দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা বেশকিছু চেয়ার ভাংচুর করেছে। হামলায় বিএনপির ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। জেলা উত্তর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টু জানান, আসন্ন গৌরনদী পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করছিলেন সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন। এ সময় সেখানে গৌরনদী পৌরসভার বিএনপি দলীয় মনোনীত মেয়র প্রার্থী শরীফ জহীর সাজ্জাত হান্নান, জেলা উত্তর মহিলা দলের সভাপতি তাসলিমা বেগমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিতি ছিলেন। সভা চলাকালীন সাবেক সাংসদের নগরীর সরিকল ভবনের বাড়িতে অর্তকিতভাবে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রদল নেতা হাফিজুর রহমান, রাসেল খন্দকার, রোকনুুজ্জামান, রাজিব খানসহ কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পরে। হামলার পরপরই সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার গৌরনদী উপজেলার নেতাকর্মীদের সাথে নগরীর ভাটিখানার বাড়িতে মতবিনিময় সভা করছিলাম। ঠিক তখনই আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। সাবেক সাংসদ আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার অত্যাচারে নিজ গ্রামে মায়ের কবর জিয়ারত করতে পর্যন্ত যেতে পারছিনা। এলাকায় গেলে বার বার হামলার শিকার হতে হচ্ছে। ফলে এলাকায় না গিয়ে বরিশাল নগরীর নিজ বাসায় বসে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করার সময় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে সেই অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বরিশালের বাসায় এসে যদি হামলার শিকার হতে হয়, তাহলে গৌরনদীতে যাওয়া এবং সেখানকার পৌর নির্বাচন কি ধরনের স্বচ্ছ হতে পারে, তা হামলার মাধ্যমে পুরোপুরি তারা প্রকাশ করে দিয়েছে। কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সগির হোসেন বলেন, হামলার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ওসি আরও জানান, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাটকীয় এ হামলার সাথে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কোন যোগসাজস নেই দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে তাদের নিজেদের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যার দায়ভার এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর চাঁপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
Leave a Reply