নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অনুষদের প্রাক্তন ডিন ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিবর্গ। ১৯/০১/২১ ইং তারিখ এক বিবৃতিতে সম্প্রতি রাজপথ বিচিত্রা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সম্পর্কে সার্টিফিকেট ও চারিত্রিক বিষয় নিয়ে যে মানহানিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের জানামতে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান স্যারের সার্টিফিকেট নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে একই সার্টিফিকেট নিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান মানেই নীতির সাথে আপোষহীন একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ, তিনি কোনরকম অন্যায়-অনিয়মকে প্রশ্রয় না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। দুমকি উপজেলায় মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান সৃজনী বিদ্যানিকেতন যা এখন স্কুল এণ্ড কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি তার পরিশ্রম ও চেষ্টার ফসল। সম্পূর্ণ নির্লোভ মানুষিকতার সাথে সফলভাবে সচল রেখেছেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পর্যায়ের বিভিন্ন দায়িত্বে থেকেও কোনো কলঙ্ক তাকে কখনো এখনও স্পর্শ করতে পারেনি। সৃজনী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক এমএ কুদ্দুস বলেন, স্যারের ন্যায়নীতি ও যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি সৃজনী বিদ্যানিকেতনের পক্ষ থেকে এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সৃজনী বিদ্যানিকেতনের প্রবীন-নবীন শিক্ষার্থীদের সংগঠন সৃজনী সংসদ এবং বেশ কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, একটি অসাধু চক্র স্যারের ন্যায়-নীতির কাছে পরাস্থ হয়ে এসব করছে। চক্রটি মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে কিছু নামসর্বস্ব পত্রিকা ও ভূইফোঁর অনলাইনে খবর পরিবেশন করেছেন। যা সত্যি আমাদের জন্য চরম লজ্জার। জামান স্যার আশির দশকে একজন নবীন শিক্ষক হিসেবে সাবেক কৃষি কলেজে যোগদান করে দুমকি অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সৃজনীবিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠাসহ প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন অদ্যাবধি। পবিপ্রবি, সৃজনীবিদ্যানিকেতনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনে সকল ভালো কাজে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার ফলে তিনি কখনও নীতি-নৈতিকতাকে বিসর্জন দেননি বলেই এক শ্রেনীর লোকের বিরাগভাজন হয়েছেন। আমরা এই মিথ্যে সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে এই অপপ্রচার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি। এ বিষয় প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টিলগ্ন থেকে এর উন্নয়ন ও আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়াও ফেইসবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন মহল।
Leave a Reply